দুর্নীতির সূচক নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) সবকিছুই ধোঁয়াশাচ্ছন্ন বলে দাবি করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিব মো. মাহবুব হোসেন। তিনি বলেছেন, টিআইয়ের প্রতিবেদনে সুস্পষ্টভাবে দুর্নীতির কোনো তথ্য উল্লেখ নেই। কারণ, দুদকের কাছ থেকে কোনো তথ্য না নিয়েই প্রতিবেদনটি করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ দাবি করেন দুদক সচিব। এ সময় দুদকের ওপর কোনো রাজনৈতিক চাপ নেই বলেও দাবি করেছেন তিনি।
দুর্নীতি বৃদ্ধির প্রশ্নে মাহবুব হোসেন বলেন, এককভাবে দুদককে দায় দেওয়া উচিত নয়। আইনবিভাগ, বিচারবিভাগ ও নির্বাহী বিভাগেরও ভূমিকা আছে।
এর আগে নতুন সরকারের প্রথম দিন বাংলাদেশকে দুর্নীতিগ্রস্ত দাবি করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের দুর্নীতির ধারণাসূচক প্রতিবেদন তুলে ধরেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থানের অবনতি হয়েছে। গত বছরের তুলনায় দুই ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। ২৪ পয়েন্ট নিয়ে ১৮০টি দেশের মধ্যে আমাদের এবারের অবস্থান ১০। গতবছর যা ছিল ১২-এ।
সূচকে ১০০ স্কোরের মধ্যে ৯০ পেয়ে সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ ডেনমার্ক। ৮৭ পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ফিনল্যান্ড।
গত বছরের মতো এবারও দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আফ্রিকার দেশ সোমালিয়া। তাদের স্কোর মাত্র ১১। ১৩ পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে দক্ষিণ সুদান, সিরিয়া ও ভেনেজুয়েলা। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ শুধু আফগানিস্তানের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘বাংলাদেশের অবস্থান হতাশাজনক। এবার বাংলাদেশের স্কোর ও অবস্থানের অবনমন প্রমাণ করে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের অঙ্গীকার বাস্তবিক অর্থে কার্যকর প্রয়োগ হয়নি। আইনের প্রয়োগ ও কাঠামোগত দুর্বলতায় বাংলাদেশের আরও অবনতি হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার দেশের দুর্নীতিবাজ, আইন লঙ্ঘনকারীদের স্বার্থ রক্ষা করছে। সরকারি খাতে, বিশেষ করে সরকারি ক্রয় এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে দুর্নীতির ব্যাপকতা বেড়েছে।’