বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই হাত হারানো মো. শেখ সাদি নামের এক কিশোরকে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ সোমবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেন।
শেখ সাদির বাবা মো. জসীম উদ্দিন গত ২ মার্চ বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন করেন। ফল না পেয়ে ২ মে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড বরাবর ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠান। এর জবাব না পেয়ে ৪ জুন তিনি হাইকোর্টে রিটটি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জুলফিয়া আক্তার।
পরে আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ধামরাই বর্ণমালা স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত সাদি। ধানসিড়ি আবাসিক এলাকার পুকুরে গত বছরের ১৫ জুলাই দুপুরে গোসল করতে যায় সাদি। পুকুরে ঝাঁপ দেওয়ার সময় পানির ওপর ঝুলন্ত বিদ্যুতের তারে স্পৃষ্ট হয়ে তার দুই হাতে আগুন লাগে। উদ্ধার করে তাকে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠান। তবে শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখানকার চিকিৎসক সাদির দুই হাত কাঁধ থেকে কেটে ফেলেন।
দুর্ঘটনাস্থল ও এর আশপাশে বিভিন্ন সময় পল্লী বিদ্যুতের তার ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। ঝুঁকিপূর্ণ তার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য স্থানীয় লোকজন ধামরাই জোনাল কার্যালয়ের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজারকে অনুরোধ করলেও ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিসহ বিবাদীদের এক সপ্তাহের মধ্যে ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।