প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় এসেছে। ফলে এই মেয়াদে তাঁর সরকারের প্রধান প্রচেষ্টা হবে চরম দারিদ্র্যের হার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা।
আজ বৃহস্পতিবার ১২টি দেশের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত এবং হাইকমিশনার গণভবনে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন। খবর বাসসের।
ইমরুল কায়েস বলেন, প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতদের জানিয়েছেন, তার সরকার সারাদেশে তৃণমূল পর্যায়ে উন্নয়ন নিশ্চিত করাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। তাদেরকে উন্নয়নে অন্তর্ভুক্ত করা হলে সারাদেশের উন্নয়ন হবে; জনগণ এর সুফল পাবে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার কমে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ হয়েছে এবং চরম দারিদ্র্যের হার দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে। আগে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪২ শতাংশের বেশি।
নারীর ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, সংরক্ষিত আসনের পাশাপাশি সংসদ নির্বাচন ও অন্যান্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নারীরা সরাসরি অংশগ্রহণ করছে। দেশের স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা সম্পর্কে তিনি বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে নারী ও শিশুরা চিকিৎসা নিচ্ছে, যা সম্পূর্ণভাবে তাঁর সরকারের মস্তিষ্কপ্রসূত এবং এই প্রচেষ্টার জন্য মা ও শিশুমৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এ সময় বাংলাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে দূতদের বিনিয়োগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
সাক্ষাতের শুরুতে বতসোয়ানা, কম্বোডিয়া, গাম্বিয়া, হাঙ্গেরি, জ্যামাইকা, মেসিডোনিয়া, মঙ্গোলিয়া, লুক্সেমবার্গ, স্লোভাক রিপাবলিক, স্লোভেনিয়া, পেরু এবং ভেনেজুয়েলার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পুনরায় নির্বাচিত হয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে এবং মোট পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণে অভিনন্দন জানান। তারা বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি দেখে তারা অভিভূত ও অনুপ্রাণিত হয়েছেন।
অ্যাম্বাসাডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং জ্যেষ্ঠ পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।