এখন টিউলিপের চোখজুড়ানো সৌন্দর্য পর্যটক ও দর্শনার্থীর সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে কর্তৃপক্ষ। এর অংশ হিসেবে ১৯ মার্চ থেকে দেশি–বিদেশি পর্যটক ও দর্শনার্থীরা বাগানটিতে ভ্রমণ করতে পারবেন।
এশিয়ার সবচেয়ে বড় এই টিউলিপবাগানে ঘুরতে হলে ৫ বছরের বেশি বয়সী ভারতীয় পযর্টক ও দর্শনার্থীকে গুনতে হবে ৬০ রুপি। আর বিদেশি পযর্টক ও দর্শনার্থীর জন্য প্রবেশমূল্য জনপ্রতি ১৫০ রুপি।
এবারের মৌসুমে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকবে কাশ্মীরের টিউলিপবাগানটি। আশা করা যাচ্ছে, আগামী মাসের শেষ নাগাদ বাগানটিতে রং–বেরঙের টিউলিপ ফুটে থাকবে। ওই সময় পর্যন্ত পর্যটক ও দর্শনার্থীরা বাগানটিতে ভ্রমণ করতে পারবেন।
২০০৮ সালে কাশ্মীরে গড়ে তোলা হয় ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল টিউলিপ গার্ডেন। ওই সময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন গুলাম নবী আজাদ। মূলত শীত ও গ্রীষ্মের মাঝামাঝি সময়ে পর্যটকের মনোযোগ কাড়তে তাঁর উদ্যোগে এশিয়ার সবচেয়ে বড় এই টিউলিপবাগান যাত্রা শুরু।
টিউলিপবাগানটির তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে রয়েছেন ইনাম–উল–রেহমান। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘প্রতিবছর এই বাগানের পরিধি বাড়ছে। টিউলিপের নতুন নতুন জাত যুক্ত করা হচ্ছে। বাগানটির উন্নয়নে আর ফুলের মান ধরে রাখতে আমাদের কর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।’
ইনাম–উল–রেহমান আরও বলেন, প্রতিবছর মার্চ–এপ্রিলে টিউলিপের মৌসুম শুরু হয়। বাগানে মাত্র তিন থেকে পাঁচ সপ্তাহ টিউলিপ ফুটে থাকে। তাই এবারের মৌসুমের এই সময়টায় দেশি–বিদেশি লাখো পর্যটক ও দর্শনার্থী বাগানে টিউলিপ দেখতে আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে।