আগামী অক্টোবরে ফিফা উইন্ডোতে র্যাঙ্কিংয়ে ৫১ ধাপ এগিয়ে থাকা থাইল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের মাঠে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। আজ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এই তথ্য জানিয়েছেন নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার।
২০২৬ সালের মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় হবে এশিয়ান কাপ। যেখানে প্রথমবারের মতো অংশ নেবেন তহুরা খাতুন-ঋতুপর্ণা চাকমারা। সেই টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি হিসেবেই থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ২৫ ও ২৮ অক্টোবর দুটি ম্যাচ খেলবে মেয়েরা।
মাহফুজা আক্তার বলেন, ‘আমরা সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে মেয়েদের ক্যাম্প শুরু করব। এরপর অক্টোবরে থাইল্যান্ডে গিয়ে দুটি ম্যাচ খেলব।’
আমাদের চেষ্টা থাকবে নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকাতে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট আয়োজন করা। সে জন্য আমি ভিয়েতনামকে চিঠি দিয়েছি। যদি ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট না হয়, তাহলে যে কোনো একটা দেশের সঙ্গে দুটি ম্যাচ খেলব।
জাতীয় দল ও অনূর্ধ্ব-২০ নারী দলের এশিয়ান কাপের প্রস্তুতির জন্য ঢাকায় ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনাও রয়েছে বাফুফের। মাহফুজা তেমনটাই বলেছেন, ‘আমাদের চেষ্টা থাকবে নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকাতে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট আয়োজন করা। সে জন্য আমি ভিয়েতনামকে চিঠি দিয়েছি। যদি ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট না হয়, তাহলে যে কোনো একটা দেশের সঙ্গে দুটি ম্যাচ খেলব।’
তার আগে এশিয়ান কাপের জন্য জাতীয় ও অনূর্ধ্ব-২০—এই দুই দলকেই জাপানে অনুশীলনের জন্য পাঠাতে চায় বাফুফে। অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার পথে নিউজিল্যান্ড সফর করে দেশটির সঙ্গে দুটি ম্যাচ খেলার চেষ্টাও করছে ফেডারেশন।
নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে এবার অতীতের সব রেকর্ড ভাঙেন বাংলাদেশের মেয়েরা। ২০১৪ ও ২০২২ আসর মিলিয়ে পাঁচ ম্যাচের একটিতেও জয় পায়নি মেয়েরা। কিন্তু গত ২৯ জুন থেকে ৫ জুলাই মিয়ানমারে হওয়া এশিয়ান বাছাইয়ে তিন ম্যাচের তিনটিতেই দারুণ খেলে জিতে প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ।
২০২৬ সালের ১ থেকে ২১ মার্চ অস্ট্রেলিয়ার পাঁচ ভেন্যুতে হবে এশিয়ান কাপের ২১তম আসর। বাংলাদেশের গ্রুপে আছে নয়বারের চ্যাম্পিয়ন চীন ও তিনবারের চ্যাম্পিয়ন উত্তর কোরিয়া। আরেক প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান।

১২ দলের সেই লড়াইয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা আট দলের সুযোগ থাকবে ২০২৭ ব্রাজিল বিশ্বকাপ এবং ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিকে খেলার।
১২টি দল তিন গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে এশিয়ান কাপে। প্রতি গ্রুপের সেরা দুটি করে মোট ৬ দল সরাসরি যাবে কোয়ার্টার ফাইনালে। তাদের সঙ্গে গ্রুপ পর্বে তৃতীয় হওয়া তিন দলের সেরা দুই দলও পাবে শেষ আটে খেলার সুযোগ।