
রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকশিল্পে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ কর্মিবাহিনী গড়ে তুলতে বাংলাদেশ সরকারের স্কিলস ফর ইন্ডাস্ট্রি কমপিটিটিভনেস অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রাম (সিআইসিআইপি) সহযোগিতায় ১ হাজার ১৭৫ জন তরুণ-তরুণীদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে তৈরি পোশাকশিল্পমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
প্রশিক্ষণ নেওয়া এই বিপুলসংখ্যক তরুণ-তরুণীদের একটি অংশ বিভিন্ন পোশাক কারখানায় কর্মরত। তার বাইরে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্নাতক শেষ করা শিক্ষার্থীরাও এই প্রশিক্ষণে অংশ নেন। সফলভাবে প্রশিক্ষণ শেষ করায় ১ হাজার ১৭৫ জনের হাতে সনদ তুলে দেওয়া হয়। এ জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার উত্তরায় বিজিএমইএর কার্যালয়ে নুরুল কাদের অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিজিএমইএর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানান হয়, সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ সভাপতি ও এসআইসিআইপি প্রকল্পের চেয়ারপারসন মাহমুদ হাসান খান। প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে সনদ তুলে দেন বিজিএমইএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ইনামুল হক খান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিজিএমইএর সহসভাপতি মো. শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী।
বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় বিভিন্ন কারণে শিল্পে উৎপাদন ব্যয় ক্রমাগতভাবে বাড়ছে। তবে পণ্যের মূল্য বাড়ছে না। এমন প্রেক্ষাপটে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য দক্ষতা উন্নয়ন অপরিহার্য। তিনি আরও বলেন, তৈরি পোশাকশিল্প এখন মৌলিক পোশাক উৎপাদন থেকে দৃষ্টি সরিয়ে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ওপর ফোকাস করেছে। বিশেষভাবে পোশাক ডিজাইন সফটওয়্যার, থ্রিডি ডিজাইনিং সফটওয়্যার, কম্পিউটার অ্যাডেড ম্যানুফ্যাকচারিং, ডিজিটাল প্রিন্টিং প্রযুক্তির মতো টুলগুলো বর্তমানে ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রগুলোতে যুক্ত হওয়ার জন্য প্রশিক্ষণার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর পরিচালক রুমানা রশীদ, মজুমদার আরিফুর রহমান, নাফিস-উদ-দৌলা, কাজী মিজানুর রহমান প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, স্কিলস ফর ইন্ডাস্ট্রি কমপিটিটিভনেস অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রাম (এসআইসিআইপি) হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের একটি উদ্যোগ, যা দেশের শিল্প খাতের দক্ষতা বৃদ্ধি, প্রতিযোগিতা সক্ষমতা এবং উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে চালু করা হয়েছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের অধীন প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। তৈরি পোশাক খাতের জন্য এই প্রকল্পের মূল অংশীদার হিসেবে কাজ করছে বিজিএমইএ।
















