তুষারঝড়ে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডায় ৩৮ জনের মৃত্যু

0
185
যুক্তরাষ্ট্র-কানাডায় তুষারঝড়

যুক্তরাষ্ট্র-কানাডায় গত কয়েক দিনের শীতকালীন তুষারঝড় ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। দেশ দু’টোতে তুষারঝড় ও মাত্রাতিরিক্ত ঠান্ডায় এরমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৩৮ জন।

ঝড়ে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নিউ ইয়র্কের বাফেলো শহর। শুধুমাত্র এখানেই মারা গেছেন ৭ জন। ঝড়ের প্রভাবে বাফেলোর অনেক স্থান বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। অন্যদিকে কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশের মেরিট শহরের কাছে একটি বরফাচ্ছন্ন রাস্তায় বাস উল্টে চার জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। খবর বিবিসির।

যুক্তরাষ্ট্রের কিছু কিছু জায়গায় ধীরে ধীরে বিদ্যুৎ ফিরতে শুরু করলেও বিমান চলাচল এখনো স্বাভাবিক হয়নি। ফলে বড়দিন উপলক্ষে পরিবারের সঙ্গে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা থাকলেও অনেকে তা পারেননি।

ঝড়ের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, এর প্রভাব পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ দিকের রাজ্য টেক্সাস থেকে পার্শ্ববর্তী দেশ কানাডাতেও।

দেশটির আবহাওয়ার পূর্বাভাসকারীরা বলছেন, ঝড়টি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে কমতে পারে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে ভ্রমণ না করতে বলা হয়েছে।

নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোচুল বলেছেন, ‘এবারের ঝড় বাফেলোর ইতিহাসে সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক হিসেবে ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে।’

বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাফেলোতে যে কয়জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে কয়েকজনকে গাড়ির ভেতর এবং তুষারআবৃত রাস্তা থেকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। বাফেলো ছাড়াও ভেরমন্ট, ওহাইও, মিসৌরি, উইসকনসিন, কানসাস এবং কলোরাডোতে ঠাণ্ডা ও ঝড়ে মানুষ মারা যাওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।

অন্যদিকে কানাডার কিউবেক এবং ওন্টারিওর মানুষের জনজীবনের ওপরও প্রভাব ফেলেছে এ ঝড়। রোববার কিউবেকের ১২ হাজার গ্রাহকের ঘরে ছিল না বিদ্যুৎ। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক হতে কয়েকদিন সময় লাগতে পারে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.