তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিখোঁজ বগুড়ার গোলাম সাঈদ রিংকু। সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পের ঘটনায় তিনি নিখোঁজ হন। ছেলের সন্ধানে প্রহর গুনছে বাবা-মাসহ স্বজনরা।
কৃষক পরিবারের সন্তান রিংকুর বাড়ি বগুড়ার গাবতলী উপজেলার কাগইলের দেওনাই গ্রামে। তিনি রফিকুল ইসলামের ছেলে রিংকু।
রিংকু স্থানীয় কাগইল করুনাকান্ত উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। এরপর বগুড়ার আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন পাবলিক স্কুল ও কলেজ (এপিবিএন) থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে ২০১৫ সালে স্কলারশিপ নিয়ে তুরস্কে পড়তে যান। সেখানে কারামানমারাস বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি পার্ট টাইম চাকরিও করতেন।
রিংকুর মামা সাজেদুর রহমান জানান, তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ কাহরামানমারাসে রিংকু বসবাস করতেন। তুরস্কের ভয়াবহ ভূমিকম্পে সেই ভবনটি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। এরপর থেকে তার বন্ধুরা রিংকুর খোঁজ পাচ্ছিলেন না। বিষয়টি সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রিংকুর বাড়িতে জানান তারা বন্ধুরা।
ভূমিকম্পের পর থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি রিংকুর পরিবারের লোকজন। এরপর বাড়ির লোকজনও তাকে মোবাইল ফোনে পাচ্ছেন না। রিংকু বেঁচে আছেন নাকি মারা গেছেন তাও তারা জানেন না।
তবে তারা সন্তানের অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন। নিখোঁজ ছেলের জন্য বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। তার সন্ধানে সরকারের সহায়তা চেয়েছে রিংকুর বাবা-মা।