বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে গুলিবিদ্ধ হয়ে হামিদ উল্লাহ নামে এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া গুলিবিদ্ধ আরেকজনকে হাসপাতালে ভর্তির প্রস্তুতি চলছে। তার নাম মুহিব উল্লাহ।
বুধবার বেলা পৌনে ৩টার দিকে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশে এমএসএফ হাসপাতালে নেওয়া হলে হামিদ উল্লাহকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
সীমান্তের বাসিন্দারা জানান, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্ত এলাকার মিয়ানমার অংশে গোলাগুলি চলছে। বুধবার ভোর সাড়ে ৫টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১টা পর্যন্ত মিয়ানমারে বিচ্ছিন্নতা গোষ্ঠী আরএসও এবং আরসার মধ্যে এ গোলাগুলি চলে। এসময় কয়েকজন রোহিঙ্গা গুলিবিদ্ধ হয় বলে শোনা গেছে। এতে সীমান্তে বসবাসকারীদের মধ্যে আবারও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, ভোর থেকে শূন্যরেখা এলাকায় রোহিঙ্গা শিবিরের সীমান্তে গোলাগুলি চলছে।
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমেন শর্মা বলেন, ‘স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে গোলাগুলির ঘটনা জানতে পেরেছি। ঘটনাটি শূণ্যরেখায় ঘটেছে। তাই কী ঘটেছে, কেন ঘটেছে, তা বিজিবি ভালো বলতে পারবে।’
এদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি ৫৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আসাদুজ্জামানের সঙ্গে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।