
ভারত পাকিস্তানের তিনটি বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী আজ শনিবার এ কথা জানায়। যেসব বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে সেগুলোর একটির অবস্থান দেশটির রাজধানী ইসলামাবাদের উপকণ্ঠে।
ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলা ঘিরে প্রায় তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় ধরনের সংঘাতে জড়িয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। গত বুধবার থেকে টানা তিন দিন ধরে পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিবেশী দুই দেশ।
রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারে পাকিস্তানের সামরিক মুখপাত্র আহমেদ শরীফ চৌধুরী বলেন, ভারত তিনটি বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে ‘ক্ষেপণাস্ত্র হামলা’ চালিয়েছে। তিনি বলেন, ‘অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্র’ প্রতিহত করা হয়েছে এবং ‘কোনও উড়োজাহাজের’ ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
যেসব বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে সেগুলোর একটি হলো রাওয়ালপিন্ডির নূর খান বিমানঘাঁটি। এটি পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
রাতভর ইসলামাবাদ থেকে বেশ কিছু বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
রাওয়ালপিন্ডির নূর খান বিমানঘাঁটি গুরুত্বপূর্ণ বিদেশি অতিথিদের আসা-যাওয়ার কাজে ব্যবহৃত হয়। ভারতের হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে সৌদি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আদেল আল-জুবেইর ওই ঘাঁটি থেকে নিজ দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
পাকিস্তানের সামরিক মুখপাত্র আহমেদ শরীফ চৌধুরী ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘এখন শুধু আমাদের জবাবের জন্য অপেক্ষা করুন।’
এদিকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, দিল্লির ‘উন্মত্ত আচরণ দুই পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্রকে বড় ধরনের সংঘাতের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে।’
গতকাল শুক্রবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও সেনাবাহিনী প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর জানিয়েছে।
বুধবার ভারতের প্রথম বিমান হামলার পর শিশুসহ দুই দেশে ৫০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। নিহতদের বেশির ভাগই পাকিস্তানের।
গত ২২ এপ্রিল পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এর দায় পাকিস্তানের ওপর চাপিয়ে আসছে ভারত। তবে তা নাকচ করেছে পাকিস্তান। ওই ঘটনার জেরে পাল্টাপাল্টি বিভিন্ন পদক্ষেপও নিয়েছে দেশ দুটি। এমন উত্তেজনার মধ্যে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পাকিস্তান ও দেশটির নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে হামলা চালায় ভারত। এর পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে চলছে পাল্টাপাল্টি হামলা।
এএফপি, ইসলামাবাদ