চুয়েট, কুয়েট, রুয়েট—তিন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন রাজশাহী কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী উম্মে হাবিবা লামিয়া। ২৩ জুন মুঠোফোনে তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তানভীর রহমান
অভিনন্দন। কেমন লাগছে?
ভীষণ ভালো। আশপাশ থেকে অনেক প্রশংসা পাচ্ছি।
ভালো ফলের পেছনে আপনার কৌশল কী ছিল?
নিয়মিত পড়াশোনা করা। যেগুলো প্রয়োজন সেগুলোই পড়া। বিগত বছরের প্রশ্ন দেখা, সফল ব্যক্তিদের দিকনির্দেশনা অনুসরণ করা। আমার মনে হয়, এগুলোই কাজে দিয়েছে। তা ছাড়া মা-বাবা খুব সমর্থন দিয়েছেন। কোনো সিদ্ধান্তে কখনো বাধা দেননি।
আপনার বিশেষ অভ্যাস বা গুণের কথা বলবেন, যেটা আপনাকে এগিয়ে রেখেছে বলে মনে করেন?
রাতে সময়মতো ঘুমানো, সকালে তাড়াতাড়ি ওঠা। সকালের দিকেই বেশির ভাগ পড়ি। আমার মনে হয়, এটা একটা ভালো অভ্যাস।
যারা আপনার মতো ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করতে চায়, তাদের কী পরামর্শ দেবেন?
মূল বইগুলো ভালোভাবে পড়ে, বেশি বেশি অনুশীলন করতে হবে। নিজেকে সময় দিতে হবে।
পড়াশোনার পাশাপাশি আর কিসে আপনার আগ্রহ?
বিভিন্ন অলিম্পিয়াড, আর্ট প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছি। ২০১৮ সালে জাতীয় গণিত অলিম্পিয়াডে তৃতীয় হয়েছিলাম।
ভর্তি পরীক্ষার সময় চ্যালেঞ্জ কী ছিল?
নানা অনিশ্চয়তা মনে এসে ভর করত। মনে হতো, হবে কি হবে না, আমি ঠিকমতো পারছি কি না। বিভিন্ন জায়গায় পরীক্ষা দিতাম, পরীক্ষা ভালো হলে মনে হতো ভালোই হচ্ছে। আবার একটা পরীক্ষা খারাপ হলে, দুশ্চিন্তা হতো যে ভালো করতে পারছি না।
প্রকৌশল গুচ্ছের বাইরে আর কোথায় সাফল্য পেলেন?
মেডিকেলে ৪৮তম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক ইউনিটে ১৮তম, আর বুয়েটে ২১৮তম হয়েছি।
পড়বেন কোথায়?
বুয়েটেই পড়ব, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশলে (সিএসই)। আগে থেকেই সিএসইর প্রতি আগ্রহ। আমার আব্বুও একজন প্রকৌশলী। তিনিই অনুপ্রেরণা দিয়েছেন।
আগ্রহের শুরুটা কীভাবে?
২০১৫ সালে বুয়েটে গিয়েছিলাম। ন্যাশনাল হাইস্কুল প্রোগ্রামিং কনটেস্টের জাতীয় পর্যায়ে অংশ নিতে। কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে সেবারই আমার প্রথম যাওয়া। তখন একটা উৎসাহ পেয়েছিলাম, এখানে পড়তে হবে। ওই প্রতিযোগিতায় একজন আপু ছিলেন, যিনি প্রোগ্রামার, বাইরের দেশে চাকরি পেয়েছেন। তাঁর থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রোগ্রামিং শিখেছি।
ভবিষ্যতে কী করতে চান?
পড়াশোনা শেষে দেশেই থাকার ইচ্ছা। সফল উদ্যোক্তা হতে চাই। সে ক্ষেত্রে সিএসইর পড়ালেখাটা মনে হয় ভালোই কাজে লাগবে।