হত্যা মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেননকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের ওপর হামলার ঘটনায় শাহবাগ থানায় হওয়া মামলায় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেননের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তার ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জানা গেছে, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে মির্জা আব্বাসের ওপর হামলার ঘটনায় এই অভিযোগ আনা হয়।
মামলার কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ১৫ ডিসেম্বর বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের নির্বাচনী প্রচারে হামলা চালানো হয়। এতে মির্জা আব্বাসের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়া ইমাম হোসেনসহ অনেকে গুরুতর জখম হন। এ ঘটনায় গত ২৭ আগস্ট শাহবাগ থানায় মামলা রেকর্ড হয়। মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেননকে হুকুমের আসামি করা হয়।
গত ১২ সেপ্টেম্বর সকালে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিভিন্ন হত্যা মামলায় রাশেদ খান মেননকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ২৭ আগস্ট রাজধানীর আদাবর থানায় করা গার্মেন্টসকর্মী রুবেল হত্যা মামলায় ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। এর আগে গত ২২ আগস্ট সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানীতে নিজ বাসভবন থেকে রাশেদ খান মেননকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র ছাত্র-জনতা হত্যা ও ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে দায়ের করা অভিযোগে তাকে আসামি করা হয়।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। আওয়ামী লীগ আমলে তিনি প্রথমে বেসরকারি বিমান পরিবহনমন্ত্রী এবং পরে সমাজকল্যাণমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।