ওই তরুণীর দাবি, দীর্ঘ ছয় বছর ধরে শাহাবুলের সঙ্গে তাঁর প্রেম চলছে। তাঁর বিভিন্ন জায়গা থেকে বিয়ের প্রস্তাব এলেও শাহাবুল তাঁকে অন্য কাউকে বিয়ে করতে নিষেধ করেন। সেই সঙ্গে বিয়ে করার কথা বলে কালক্ষেপণ করে যাচ্ছিলেন। এরই মধ্যে গত বছরে ২৩ ফেব্রুয়ারি এবং এর দুই মাস পর তাঁর (তরুণীর) সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন শাহাবুল। বিভিন্ন সময় বিয়ের চাপ দিলেও তিনি বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে বিয়ের দাবিতে গত শুক্রবার সকাল থেকে শাহাবুলের বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন শুরু করেন। এরই মধ্যে শাহাবুল বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।
পলিপ্রয়াগপুর ইউপি সদস্য সামসুদ্দিন বলেন, চার দিন ধরে শাহাবুলের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে মেয়েটি অনশনে ছিলেন। সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ছেলে–মেয়ে উভয় পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ঘোড়াঘাটের রানীগঞ্জে এক আত্মীয়ের বাড়িতে তাঁদের বিয়ে হয়।
বিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা বলেন, কয়েক দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ও লোকমুখে শাহাবুলের বিষয়টি জেনেছেন। শাহাবুল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। তাই তাকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।