মোস্তাফিজ কেন উইকেট পাচ্ছেন না
ওয়ানডেতে মোস্তাফিজ নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন বেশ কিছুদিন ধরেই। তাঁর উইকেট নেওয়ার সামর্থ্যের পাশেও আছে বড় প্রশ্ন। সাম্প্রতিক সময়ে উইকেট নেওয়ার চেয়ে রক্ষণাত্মক বোলিংয়ের দিকেই যেন মনোযোগ তাঁর। সর্বশেষ এক বছরে ১৩ ইনিংস বোলিং করে মোস্তাফিজ নিয়েছেন ১০ উইকেট, এর মধ্যে ৫টি এসেছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২ ম্যাচে। চট্টগ্রামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে হেরাথ অবশ্য মোস্তাফিজের এ ভূমিকা নিয়েই সাফাই গাইলেন।
বাঁহাতি এই পেসারের ফর্ম নিয়ে প্রশ্ন করা হলে হেরাথ বলেছেন, ‘মোস্তাফিজের ব্যাপারে ভাবতে হবে—সে শুরুতে বোলিং করছে, মাঝে করছে, শেষেও করছে। ফলে একই সঙ্গে কম রান দেবে এবং অনেকগুলো উইকেট নেবে, এমন আশা করা কঠিন। সে মূলত বোলার হিসেবে দলের কঠিনতম কাজটি করছে। এসবও বিবেচনায় আনতে হবে।’
সাকিবকে তামিমের ডাক, ‘সাকিব! এই সাকিব!’
সব মিলিয়ে মোস্তাফিজের পারফরম্যান্স নিয়ে তিনি খুশি কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে হেরাথ বলেছেন, ‘আমি খুশি। অবশ্যই অলরাউন্ডার, ব্যাটসম্যান বা বোলার হিসেবে উন্নতির সুযোগ আছে। সেসব নিয়েই কাজ করতে হবে।’
শেষ ম্যাচের আগেই ওয়ানডে সিরিজ হেরে গেছে বাংলাদেশ। ২০১৬ সালের পর এই প্রথম দেশের মাটিতে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ হেরেছে তারা। সেবারও ইংল্যান্ডের কাছেই হেরেছিল স্বাগতিকেরা। শেষ ম্যাচে পরীক্ষা-নিরীক্ষার একটা সুযোগ তাই নিতেই পারে বাংলাদেশ। সে পরীক্ষা-নিরীক্ষা যদিও হয় এবং এরপরও মোস্তাফিজ জায়গা ধরে রাখেন—হয়তো অবাক করার মতো বিষয় হবে সেটিই।
প্রথম দুই ম্যাচেই বাংলাদেশ খেলিয়েছে অপরিবর্তিত একাদশ। খেলেছেন দুজন করে পেসার—তাসকিন আহমেদের সঙ্গে মোস্তাফিজ। ওয়ানডে দলে পেসার হিসেবে এই দুজন ছাড়া আছেন ইবাদত হোসেন ও হাসান মাহমুদ। এমনিতেও মোস্তাফিজের বোলিংয়ের সঙ্গে চট্টগ্রামের চেয়ে মিরপুরের উইকেটই বেশি মানানসই, তবে সেখানেও নিষ্প্রভই থেকেছেন তিনি।
মোস্তাফিজের জায়গায় এখন নতুন কাউকে চেষ্টা করে দেখা উচিত কি না, এমন প্রশ্নে অবশ্য কূটনৈতিক উত্তরই দিয়েছেন হেরাথ, ‘যখনই সম্ভব, স্কোয়াডের থাকা বাকি তরুণদের সুযোগ দিতে হবে।’