ঢাকা ওয়াসার এটিএম বুথের পানির দাম দ্বিগুণ হচ্ছে

0
175

দ্বিগুণ করা হচ্ছে ঢাকা ওয়াসার এটিএম বুথের পানির দাম। বর্তমানে প্রতি লিটার পানি বিক্রি হচ্ছে ৪০ পয়সায়। আগস্ট মাস থেকে কিনতে হবে ৮০ পয়সায়। সম্প্রতি ঢাকা ওয়াসার পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

এটিএম বুথ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক রামেশ্বর দাস সমকালকে বলেন, লিটারপ্রতি ৩০ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। এতে প্রতি লিটারের দাম হবে ৭০ পয়সা। বাকি ১০ পয়সা কর বাবদ গ্রাহককে পরিশোধ করতে হবে। আগামী ১ আগস্ট থেকে এ দাম কার্যকর হবে।

তবে এ বিষয়ে ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. সুজিত কুমার বালা কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

জানা গেছে, বর্তমানে ঢাকা ওয়াসার ২৯৪টি পানির এটিএম বুথ রয়েছে। ওয়াসার পানির পাম্পগুলোতে এসব এটিএম স্থাপন করা আছে। এটিএম বুথের মাধ্যমে সেখান থেকে গভীর নকলকূপের পানি গ্রাহকের নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এরই মধ্যে বুথে বুথে নোটিশ দিয়ে গ্রাহকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে দাম বৃদ্ধির কথা। এতদিন প্রতি লিটারের দাম ছিল করসহ ৪০ পয়সা।

ওয়াসা বলছে, যে দামে ওয়াসা এটিএম বুথের মাধ্যমে গ্রাহককে পানি দেয় তাতে খরচ ওঠে না। বিদ্যুৎ বিল, কর্মীদের বেতন-ভাতা, পানি সরবরাহে এটিএম বুথ স্থাপনসহ বিভিন্ন খরচ আছে। এতদিন ভর্তুকি দিয়ে গ্রাহককে এই সেবা দেওয়া হচ্ছে। ভর্তুকির পরিমাণ কমানোর জন্য দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

পানির এটিএম বুথ কি

ব্যাংকের এটিএম বুথের অনুকরণে বিভিন্ন এলাকায় ঢাকা ওয়াসার গভীর নলকূপের সাথে বছর দশেক আগে ঢাকা ওয়াসা পানির এটিএম বুথ স্থাপন করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ড্রিংকওয়েল ও ঢাকা ওয়াসা যৌথভাবে এটিএম স্থাপন ও এর কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

এ উদ্যোগের ফলে স্বল্প মূল্যে গ্রাহক সুপেয় পানি পেতে শুরু করে। গ্রাহকের মধ্যেও এটিএমের পানি সংগ্রহ করতে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়। এরপর ঢাকা ওয়াসা এটিএম বুথের সংখ্যা প্রতি বছরই বাড়িয়েছে। বর্তমানে ৩২১টি বুথ রয়েছে। এর মধ্যে চালু আছে ২৯৪টি।

এটিএম বুথ থেকে গ্রাহককে পানি সংগ্রহ করতে হলে বুথ সংলগ্ন অফিস থেকে ৫০ টাকা দিয়ে একটি কার্ড সংগ্রহ করতে হয়। সেখান থেকেই কার্ডে টাকা রিচার্জ করতে হয়। সর্বনিম্ন ১০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৯৯৯ টাকা পর্যন্ত রিচার্জ করা যায়। এরপর ওই কার্ডটি এটিএম বুথে প্রবেশ করিয়ে প্রয়োজন অনুযায়ী পানি সংগ্রহ করা যায়।

গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী পানি পাত্রে পড়ার পর ট্যাপ বন্ধ হয়ে যায়। ওই পরিমাণ অর্থ কার্ড থেকে কেটে রাখা হয়। কার্ডের টাকা শেষ হয়ে গেলে আবারও কার্ড রিচার্জের সুযোগ পান গ্রাহকরা।

গভীর নলকূপ থেকে উত্তোলিত পানি সরাসরি এটিএমের মাধ্যমে গ্রাহক পেয়ে থাকেন। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৪ লাখ লিটার পানি বিক্রি করছে ঢাকা ওয়াসা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.