ড্যাপের ৩০-৩৫ শতাংশ বাস্তবায়ন হলেই ঢাকা বাসযোগ্যতা ফিরে পাবে

0
190
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) আলোচনা সভা

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, ঢাকা মহানগর বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার (ড্যাপ) ৩০ ভাগ বাস্তবায়ন হলে এই মেগা সিটির চেহারা বদলে যাবে। তারা বলেন, পরিকল্পিত নগরায়নের জন্য স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি অনেক পরিকল্পনা হয়েছে, কিন্তু এর বাস্তবায়ন না হওয়া ও কিছু ভুল সিদ্ধান্তের কারণে আজ ঢাকা শহরের এই অবস্থা হয়েছে। এখন ড্যাপের ৩০-৩৫ শতাংশ বাস্তবয়ন হলেও ঢাকায় বাসযোগ্যতা ফিরে আসবে।

শনিবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) আয়োজিত ‘পরিকল্পিত জনঘনত্ব, বাসযোগ্য নগর ও আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এমন অভিমত ব্যক্ত করেন। রাজধানীর বাংলামোটরে প্ল্যানার্স টাওয়ারে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

বিআইপি সভপতি মোহাম্মদ ফজলে রেজা সুমন বলেন, ঢাকা শহরের বর্তমান অবস্থার জন্য শুধু রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (রাজউক) দোষ দিলে হবে না। সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে, পেশাজীবীদেরও দায় নিতে হবে। রাজশাহী শহরের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ওই শহর নিয়ে করা মহাপরিকল্পনার এক-তৃতীয়াংশ বাস্তবায়নের কারণেই রাজশাহী পরিচ্ছন্ন নগর হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। ঢাকা শহরও বাসযোগ্য হবে যদি ড্যাপের ৩০-৩৫ ভাগ বাস্তবায়ন হয়।

রাজউকের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা বলেন, ২০৪১ সালে উন্নত দেশের রাজধানী হিসেবে ঢাকা শহরকে দেখতে তিনি ড্যাপ বাস্তবায়ন করতে চান। এ জন্য প্রতি তিন মাস অন্তর পেশাজীবীসহ অন্যান্য অংশীজনদের নিয়ে বৈঠক হবে। সুপারিশ অনুযায়ী ড্যাপ বাস্তবায়নে কোন কাজটি আগে করতে হবে সেটি ঠিক করা হবে এবং অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ড্যাপ বাস্তবায়ন করা হবে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আলি আখতার হোসেন বলেন, সারা দেশে মোট কত কিলোমিটার রাস্তা হবে তার একটি সীমা থাকা উচিত। আমাদের যতটুকু রাস্তা আছে, সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করতে চাই। নতুন করে আর রাস্তা নির্মাণ করতে চাই না। তিনি বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়েও নগর পরিকল্পনাবিদ থাকতে হবে। কারণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে নগর পরিকল্পনাবিদরা সঠিক দিক-নির্দেশনা দিতে পারবেন।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইপির সাধারণ সম্পাদক শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসান। তিনি বলেন, সারা দেশের জন্য জাতীয় ভৌত পরিকল্পনা করতে হবে। এটি না করে শুধু ঢাকা শহরের জনঘনত্ব কত হবে তা নিয়ে বিতর্ক করলে কাজ হবে না। সারা দেশে যে হারে নারায়ন হচ্ছে তাতে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে একসময় পুরো দেশ বাস অযোগ্য হতে পারে।

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। বিআইপির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নগর-পরিকল্পনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট গড়ার জন্য বিআইপিকে একটি প্লট দেওয়ার জন্য রাজউক চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দেন। রাজউক চেয়ারম্যানও বিআইপিকে একটি প্লট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.