‘ডিটেকশন ও প্রটেকশন সিস্টেম থাকলে এমন দুর্ঘটনা হতো না’

0
21
ফায়ারের পরিচালক। সংগৃহীত ছবি

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে সক্রিয় বা নিষ্ক্রিয় ডিটেকশন ও প্রটেকশন সিস্টেম থাকতো, তাহলে এত বড় দুর্ঘটনা হতো না বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন ও মেনটেন্যান্স) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী।

রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটের সামনে ফায়ার সার্ভিসের কার্যক্রমের সমাপনী ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

ফায়ারের পরিচালক বলেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে সক্রিয় বা নিষ্ক্রিয় ডিটেকশন ও প্রটেকশন সিস্টেম থাকতো, তাহলে এত বড় দুর্ঘটনা হতো না। এমন কোনো ব্যবস্থা আমরা পাইনি। ভবিষ্যতে এ ধরনের সিস্টেম স্থাপন জরুরি।

তিনি বলেন, বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থলে মোট ৩৭টি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। শনিবার দুপুর ২টা ১৪ মিনিটে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করে।

তিনি আরও বলেন, কার্গো ভিলেজের কাস্টমস হাউসের অংশে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল। ভবনটি বিভিন্ন ছোট ছোট কম্পার্টমেন্টে ভাগ করা ছিল এবং ভেতরে প্রচুর দাহ্য (কম্বাসেবল) ও হ্যাজার্ডাস উপাদান ছিল। এজন্য অকুপেন্সি লোড অনেক বেশি ছিল এবং নির্বাপনে সময় লেগেছে।

তাজুল ইসলাম বলেন, ভবনটি স্টিল স্ট্রাকচারের তৈরি। এসব ধাতব অংশ আগুনের তাপ শোষণ করে রেখেছিল, এখনো তা ধীরে ধীরে তাপ ছাড়ছে। এজন্য বাইরে থেকে ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে, তবে কোনো শিখা বা নতুন আগুনের আশঙ্কা নেই। ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট সতর্ক অবস্থানে থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত ধোঁয়া দেখা যায়।

তিনি বলেন, আমরা সময়মতো ঘটনাস্থলে পৌঁছেছি। কোথাও থেকে কোনো বাধা বা বিলম্বের ঘটনা ঘটেনি। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিজস্ব ফায়ার টিম ও আমাদের ফায়ার সার্ভিস পৃথকভাবে দায়িত্ব পালন করে। এখানে ফায়ার সার্ভিসের উপস্থিতিতে কোনো নিয়মবিরোধী কিছু হয়নি।

তিনি আরও বলেন, আগুনের উচ্চ তাপমাত্রায় কিছু কলামে ফাটল ধরেছে, ভবন কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ। তবে আমরা কাজ করেছি বলে বুঝতে পারছি এটি এখনো আংশিক স্থিতিশীল। তবু কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত কাঠামোগত জরিপ করে ঝুঁকি নিরূপণ করা।

ফায়ারের পরিচালক জানান, আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে, তা তদন্তাধীন। এরইমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, তারা বিস্তারিত যাচাই করে প্রতিবেদন দেবে।

তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে থাকা ওষুধ, ফার্মাসিউটিক্যাল ও অন্যান্য পণ্য থেকে কিছু বাই–প্রোডাক্ট কেমিক্যাল তৈরি হতে পারে। এটা মিরপুরের কেমিক্যাল গোডাউনের মতো উচ্চ তেজস্ক্রিয় কোনো ঘটনা নয়। বাতাসে এখন পর্যন্ত তেমন কোনো বিপজ্জনক মাত্রা পাওয়া যায়নি।

তিনি আরও বলেন, ফায়ার সার্ভিসের দুই সদস্য এবং আনসারের কয়েকজন সদস্য হালকা আহত হয়েছেন। সিগনিফিকেন্ট বা বড় ধরনের কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আমরা আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপণ ঘোষণা করেছি। ধোঁয়া কিছুটা থাকবে, তাই চারটি ইউনিট এখানেই প্রস্তুত থাকবে ভবিষ্যতের যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায়।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.