উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও তিন দিনের ভারী বৃষ্টিপাতে বাড়তে শুরু করা তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে তিস্তা নদীর তীরবর্তী কৃষকেরা ধান, বাদাম ও মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন।
সোমবার সকাল ৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ২০ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার দশমিক ৫ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার) ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, হঠাৎ তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় নীলফামারী ও লালমনিরহাটের নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরের অনেক বসতবাড়িতে পানি উঠেছে। পানিতে ডুবে গেছে ফসলের খেত। পানি সরে যাওয়ার পরে ফসলে পচন দেখা দিতে পারে। তাই ফসল আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তারা।
নীলফামারী ডিমলা উপজেলার ছোটখাতা গ্রামের মজিবুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে হঠাৎ উজানের পানি আসতে থাকে ফলে নদীতে পানি বৃদ্ধি পায়। শনিবার পানি কমলেও রোববার রাত থেকে পানি হু-হু করে বাড়তে থাকে। পানি বাড়ায় এখানকার নিম্নাঞ্চলের অনেক জায়গা প্লাবিত হয়েছে।
পানি পরিমাপক নূরুল ইসলাম জানান, শুক্রবার রাত থেকে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। রোববার রাত পর্যন্ত পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও সোমবার সকাল থেকে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি বেড়েছে। ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। পানি এভাবে বাড়তে থাকলে বন্যার শঙ্কা রয়েছে।
টেপা খড়িবাড়ী পরিষদের চেয়ারম্যান ময়নুল হক বলেন, কিছু জায়গায় পানি প্রবেশের খবর পেয়েছি। ওসব এলাকাগুলোতে সবসময় খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে। যেসব এলাকায় পানি ঢুকেছে সেসব এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে প্রশাসনকে দেওয়া হবে।