ডিবি কর্মকর্তারা বলেন, তাঁরা সিসিটিভির (ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা) ফুটেজ বিশ্লেষণ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ডাকাত দলের সাতজনের অবস্থান নিশ্চিত হন। এর পরপরই অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার ও তিনটি ট্রাংক উদ্ধার করা হয়। ওই ট্রাংকগুলো থেকে প্রায় ৯ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে।
ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ আজ সন্ধ্যায় বলেন, ডাকাতদের গাড়িটির নম্বরপ্লেট পাওয়া গেছে। ওই ডাকাতির সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও নাম-ঠিকানা জানা গেছে। এখন বাকি ডাকাতদের গ্রেপ্তার করে তাদের কাছ থেকে অপর ট্রাংকটি উদ্ধারে চেষ্টা চলছে। একই সঙ্গে গাড়িটি উদ্ধারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
দুপুরে তুরাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শরীফুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, উত্তরার ১৬ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর ব্রিজসংলগ্ন এলাকায় একদল ডাকাত একটি মাইক্রোবাসকে আড়াআড়ি দাঁড় করিয়ে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের টাকা বহনকারী গাড়িটির গতিরোধ করে। এরপর মাইক্রোবাস থেকে ১০-১২ জন সশস্ত্র ডাকাত নেমে মানি প্ল্যান্টের গাড়ির দরজা ভেঙে অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি ও মারধর করে টাকাভর্তি চারটি ট্রাংক ছিনিয়ে পালিয়ে যায়। এসব ট্রাংকে সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিল।
তবে রাতে পুলিশের উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার বদরুল হাসান বলেন, ডাকাতদের হাতে কোনো অস্ত্র ছিল না। তাদের একজন নিজেকে ডিবি পরিচয় দিয়ে ডাকাতি করে। ডাকাতেরা সিকিউরিটি কোম্পানির কর্মীদের চর-থাপ্পড় ও ঘুষি মেরে সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। টাকা বহন করার সময় নিয়ম অনুযায়ী সিকিউরিটির কোম্পানির কর্মীদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র থাকার কথা থাকলেও তাঁদের হাতে তা ছিল না।
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবুল কাশেম মো. শিরিন বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। তবে এতে আমাদের কোনো ক্ষতি হয়নি। কারণ, টাকা বহন ও এটিএম বুথে জমার দায়িত্ব নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের। আবার এই টাকা বিমার আওতায় রয়েছে। ফলে এ নিয়ে আমাদের দুশ্চিন্তার কিছু নেই।’