ট্রেবল জয়ী সিটিজেনদের রেটিং: কে কত নম্বর পেলেন

0
171
মৌসুমে ট্রেবল জিতেছে ম্যানসিটি। ছবি: গোল ডটকম

প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় ক্লাব হিসেবে ট্রেবল জিতেছে ম্যানচেস্টার সিটি। দলটি প্রথম প্রিমিয়ার লিগ জিতেছে, এরপর এফএ কাপ। সর্বশেষ বহুল প্রতীক্ষিত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা ঘরে তুলেছে সিটিজেনরা।

মৌসুমের সেরা তিন শিরোপা জিততে আর্লিং হ্যালন্ড, কেভিন ডি ব্রুইনা, রদ্রি, বেনার্ড সিলভারা দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছেন। আবার কেলভিন ফিলিপস, আইমেরিক লাপোর্ত, সের্গিও গোমেজদের বাজে সময় গেছে। তাদের পারফরম্যান্সের রেটিং করেছে সংবাদ মাধ্যম গোল ডটকম।

আর্লিং হ্যালন্ড: মৌসুমে ৫৩ গোল করেছেন হ্যালন্ড, নয় গোলে সহায়তা দিয়েছেন। প্রিমিয়ার লিগের প্রথম মৌসুমে তার থেকে এর বেশি চাইতে পারতেন না পেপ গার্দিওয়ালা। রেটিং অনুযায়ী তিনি দশে দশ পেয়েছেন।

অসাধারণ মৌসুম গেছে হ্যালন্ডের। ছবি: গোল ডটকম

গ্রেলিস, গুন্ডোগান, রদ্রি, স্টোনস: মৌসুমে পঞ্চাশ ম্যাচ খেলে মাত্র পাঁচ গোল করেছেন জ্যাক গ্রেলিস। তবু তাকে নয় নম্বর দেওয়া হয়েছে। কারণ গতি, ড্রিবলিং, গোল করানো, ম্যাচে প্রভাব বিস্তার মিলিয়ে তিনি ছিলেন অনন্য। এছাড়া ম্যানসিটির তিন মিডফিল্ডারকে নয় নম্বর করে দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- ইলকে গুন্ডোগান, রদ্রি ও জোন স্টোনস। সেন্টার ব্যাক থেকে স্টোনস কোচ গার্দিওয়ালার নতুন সিস্টেমে যেভাবে মিডফিল্ড সামলেছেন তা টার্নিং পয়েন্ট।

ডি ব্রুইনি, একে, বেনার্ড সিলভা, দিয়াজ: ফাইনালে ইনজুরিতে পড়ায় কেভিন ডি ব্রুইনি কিছুটা কম নম্বর পেয়েছেন। গার্দিওয়ালার সিস্টেমে মিডফিল্ডের প্রাণ তিনি। মৌসুম জুড়ে খেলেছেনও অসাধারণ। যদিও কিছু ম্যাচে খারাপ গেছে। মৌসুমে ১০ গোল করেছেন, ২৮ গোলে সহায়তা দিয়েছেন তিনি। বেনার্ড সিলভার হয়তো এটাই ম্যানসিটিতে শেষ মৌসুম। ৫৫ ম্যাচে ৫ গোল ভালো বলার সুযোগ নেই। তবে কখনও মিডফিল্ড, কখনও রাইট উইঙ্গে খেলে পার্থক্য গড়েছেন তিনি। রিয়ালকে ধসিয়ে দেওয়ার কাজটা তো তারই করা। সেন্ট্রাল ডিফেন্স থেকে নাথান একে লেফট ব্যাকে এতো ভালো খেলেছেন যে, জোয়াও ক্যানসেলোকে ছেড়ে দিয়েছে ম্যানসিটি। রুবেন দিয়াজ মৌসুম জুড়ে ছিলেন ম্যানসিটির রক্ষণের নেতা। তারা পেয়েছেন আট করে নম্বর।

জোন স্টোনস ছিলেন ম্যানসিটির কৌশলের অস্ত্র। ছবি: গোল ডটকম

আকাঞ্জি, আলভারেজ, ফোডেন, ওয়াকার, এদেরসন: মাত্র ১৫ মিলিয়নে পাওয়া ম্যানুয়েল আকাঞ্জি অসাধারণ মৌসুম কাটিয়েছেন। গার্দিওয়ালা যখন যে দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি করে দেখিয়েছেন। মিডফিল্ড, রাইট ব্যাক, লেফট ব্যাকে খেলেছেন তিনি। বেঞ্চ গরম করা খেলোয়াড় বলা হলেও হুলিয়ান আলভারেজ মৌসুমে ৪৯ ম্যাচে খেলার সুযোগ পেয়েছেন। গোল করেছেন ১৭টি। ফোডেন, ওয়াকার সব দিন একাদশে সুযোগ পাননি। তবে মাঠে নেমে হতাশ করেননি। এদেরসন দু’একটা ম্যাচে বাজে ভুল করেছেন। তবে সেভ দিয়ে, বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ দেখিয়ে ও লম্বা পাস দিয়ে সিটির সাফল্যের কারণও হয়েছেন। তারা তুলেছেন সাত করে নম্বর।

লেইস, মাহরেজ: ইংল্যান্ডের ১৮ বছরের তরুণ বদলি হয়ে সব মিলিয়ে ১৮ ম্যাচ খেলেছেন। লেফট, রাইট দুই ব্যাকেই খেলেছেন তিনি। বুঝিয়েছেন ম্যানসিটির ভবিষ্যত তিনি। সেই তুলনায় রিয়াদ মাহরেজের মৌসুম বাজে বলতে হবে। তাকেও ছাড়তে হতে পারে ক্লাব। তারা তুলেছেন ছয় করে নম্বর।

ম্যানসিটির হয়ে অসাধারণ মৌসুম গেছে একের। ছবি: গোল ডটকম

লাপোর্ত, গোমেজ, ফিলিপস: আইমেরিক লাপোর্ত ছিলেন ম্যানসিটির রক্ষণের মেইন ম্যান। তিনিই এখন একাদশে জায়গা হারিয়েছেন। মৌসুম সব মিলিয়ে ২৪ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। তাকে ছেড়ে আগামী মৌসুমে অন্য কাউকে আনবে ম্যানসিটি। তাকে চার নম্বর দেওয়া হয়েছে। তরুণ স্প্যানিশ লেফট ব্যাক সের্গিও গোমেজ মৌসুমে সব মিলিয়ে ২৩ ম্যাচে নামার সুযোগ পেয়েছেন। গার্দিওয়ালাকে খুশি করতে পারেননি। তিনি তিন নম্বর পেয়েছেন। মিডফিল্ডার কেলভিন ফিলিপস অল্প সুযোগ পেলেও দরকার বোঝাতে পারেননি। তিন নম্বর দেওয়া হয়েছে এই ইংলিশকে। তাকে ছেড়ে আগামী মৌসুমে মাতেও কোভাচিককে আনতে যাচ্ছে ম্যানসিটি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.