টিসিবির জন্য কেনা হচ্ছে ২ কোটি ৭৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল

0
171
বোতলজাত সয়াবিন তেল

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য দুই কোটি ৭৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে খরচ হবে ৫১০ কোটি ২৮ লাখ টাকা। গত লটের তুলনায় নতুন লটে দাম বেশ বেড়েছে। একইসঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কানাডা থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি ও টিএসপি সার আমদানির প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনলাইনে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।

সভা শেষে অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর বিস্তারিত সাংবাদিকদের তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান। তিনি জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে তিনটি পৃথক লটে ২ কোটি ৭৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ক্রয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

প্রতি লিটার ১৮৪ টাকা ৮৪ পয়সা দরে প্রথম লটে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন সরবরাহ করবে সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেড। প্রতি লিটার ১৮৪ টাকা ৫০ পয়সা দরে দ্বিতীয় লটে ৫৫ লাখ লিটার তেল সরবরাহ করবে সুমসিং এডিবল অয়েল। এছাড়া তৃতীয় লটে প্রতি লিটার ১৮৫ টাকা ৯৫ পয়সা দরে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার সরবরাহ করবে সুপার পাওয়ার রিফাইনারি লিমিটেড।

এর আগে গত ৩০ নভেম্বর ২ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ক্রয়ের অনুমোদন দেয় সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। তখন প্রতি লিটার তেলের দাম ধরা হয়েছিল ১৫৬ টাকা ৯৮ পয়সা। সে হিসেবে নতুন সয়াবিনের দাম কিছুটা বেড়েছে।

এদিকে কানাডা ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এক লাখ ৩০ হাজার টন ইউরিয়া ও এমপিও সার ক্রয়ের তিনটি পৃথক প্রস্তাব মন্ত্রিসভা কমিটি অনুমোদন দিয়েছে বলে জানিয়েছেন সাঈদ মাহমুদ খান। তিনি জানান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) কর্তৃক রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় কানাডা কমার্শিয়াল করপোরেশন থেকে দশম লটে ৫০ হাজার মেট্রিক টন মিউরেট-অব-পটাশ (এমওপি) সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে আগের লটের চেয়ে সার কেনার খরচ কমেছে। প্রতি টন ৫১৮ দশমিক ৩৩ ডলার দরে এ সার ক্রয়ে ব্যয় হবে ৩৪৪ কোটি ৯০ লাখ ৬০ হাজার ৪৬৫ টাকা। এর আগের লটে একই সার কেনা হয়েছিল প্রতি টন ৫৫৩ দশমিক ৩৩ ডলার দরে। আরো একটি প্রস্তাবে একই দেশের একই প্রতিষ্ঠান থেকে আরো ৫০ হাজার মেট্রিক টন মিউরেট-অব-পটাশ (এমওপি) সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতি টন ৬৫৫ দশমিক ০৩ ডলার দরে এ সার ক্রয়ে ব্যয় হবে ৩৪৪ কোটি ৯০ লাখ ৬০ হাজার ৪৬৫ টাকা।

পৃথক প্রস্তাবে বিএডিসি কর্তৃক রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় মরক্কোর ওসিপি, এসএ থেকে ১০ম লটে ৩০ হাজার টন টিএসপি সার আমদানির প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রতি টন ৪৭৪ ডলার দরে এ সার ক্রয়ে ব্যয় হবে ১৫০ কোটি ৬৭ হাজার ৮০০ টাকা। এর আগের লটে একই সার কেনা হয়েছিল প্রতি টন ৬৮৭ ডলার দরে।

এছাড়াও বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়য়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) মাধ্যমে সংযুক্ত আরোব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড থেকে ৩০ হাজার টন গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ১৬৩ কোটি ৭৫ লাখ ৫৯ হাজার ৯৬৯ টাকায় আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.