বাংলা কিউআর কোড-ভিত্তিক লেনদেনকে উৎসাহিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সমন্বয়ে এ উদ্যোগে যুক্ত হয়েছে বিভিন্ন ব্যাংক, এমএফএস ও কার্ড সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান। এ উদ্যোগে যুক্ত ব্যাংকগুলো হলো ডাচ–বাংলা ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, এবি ব্যাংক, ইস্টার্ণ ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, দি সিটি ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, পূবালী ব্যাংক ও ওয়ান ব্যাংক। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠান বিকাশ, এমক্যাশ, রকেট ও কার্ড সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান মাস্টারকার্ড, ভিসা ও অ্যামেক্স এ সেবায় যুক্ত হয়েছে।
জানা গেছে, এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে এরই মধ্যে মতিঝিল এলাকায় চা–দোকান, মুদিদোকান, হোটেল, মুচিসহ ভাসমান বিক্রেতাদের কিউআর কোড সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে সেবা বিল পরিশোধ করতে পারছেন গ্রাহকেরা।
‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ উদ্যোগের আওতায় শ্রমনির্ভর অতিক্ষুদ্র ভাসমান উদ্যোক্তা (চা বিক্রেতা, ঝালমুড়ি বিক্রেতা, সবজি বিক্রেতা, মাছ বিক্রেতা), বিভিন্ন প্রান্তিক পেশায় (মুচি, নাপিত, হকার) নিয়োজিত সেবা প্রদানকারীদের বিল গ্রহণ পদ্ধতিকে ডিজিটাল ও প্রাতিষ্ঠানিক করার উদ্দেশ্যে ব্যক্তিক রিটেইল হিসাব খোলা হচ্ছে। এ হিসাবের অধীন যেসব ব্যবসায়ী, তাঁদের ব্যবসায়িক লেনদেন সম্পন্ন করবেন, তাঁরা মাইক্রো-মার্চেন্ট হিসেবে গণ্য হচ্ছেন।
এ উদ্যোগের অন্যতম অংশীদার মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল বলেন, ‘নগদ অর্থের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আনতে প্রথমবারের মতো সর্বজনীন বাংলা কিউআর, হোয়াইট লেবেল কিউআর চালুসহ বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে বিভিন্ন যুগান্তকারী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। “ক্যাশলেস বাংলাদেশ” উদ্যোগটি সে প্রেক্ষাপটে আরও একটি মাইলফলক, যেটির মাধ্যমে আমরা লক্ষ্য অর্জন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি, মাইক্রো-মার্চেন্টদের (ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের) জন্য সহজ, নিরাপদ ও সমন্বিত পেমেন্ট সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে ক্যাশলেস বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। এরই অংশ হিসেবে প্রথমে মতিঝিলে এ ধরনের সেবা চালু করা হয়েছে। ধীরে ধীরে দেশজুড়ে এ ধরনের সুবিধা চালু করা হবে।’