গাজীপুরের টঙ্গীতে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতে পাঁচ দফা দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত টঙ্গীর কলেজ গেট এলাকায় তাঁরা এ কর্মসূচি পালন করেন। এ ঘটনায় থেমে থেমে প্রায় দুই ঘণ্টা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর মধ্যে আছে টঙ্গীর কলেজ গেট এলাকায় রাস্তা পারাপারে জেব্রা ক্রসিং দেওয়া, পদচারী-সেতু নির্মাণ, কলেজ গেট এলাকায় স্থায়ীভাবে ট্রাফিক পুলিশ নিয়োগ, তিতুমীর কলেজের ছাত্র ফাহিম নিহতের ঘটনায় জড়িত জলসিঁড়ি পরিবহনের চালক ও তাঁর সহকারীর ফাঁসি এবং পদচারী-সেতু না হওয়া পর্যন্ত বিআরটি (বাস র্যাপিড ট্রানজিট) লেনে যান চলাচল বন্ধ রাখা।
বিক্ষোভে অংশ নেন টঙ্গীর সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি অ্যান্ড কলেজ, পাইলট স্কুল অ্যান্ড গার্লস কলেজ, টঙ্গী সরকারি কলেজ, সাহাজউদ্দিন সরকার আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়, অক্সফোর্ড কলেজসহ আশপাশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
আজ দুপুর ১২টায় সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েক শ শিক্ষার্থী সড়কে অবস্থান করছেন। এতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। নিজেদের দাবির কথা মাইকেও বলছেন তাঁরা। পুলিশ ও বিআরটি প্রকল্পের লোকজন তাঁদের নানাভাবে বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা করছেন।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলেন, কলেজ গেট এলাকায় অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রতিদিন বিভিন্ন প্রয়োজনে কয়েক হাজার শিক্ষার্থীকে রাস্তা পার হতে হয়। কিন্তু রাস্তা পারাপারে নেই কোনো নিরাপদ ব্যবস্থা। রাস্তা পার হতে গিয়ে প্রায় প্রতিদিনই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। মারাও যাচ্ছে কেউ কেউ। তাই যেকোনো মূল্যে এখানে রাস্তা পারাপারে নিরাপত্তা চান তাঁরা।
কাউছার আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, গত বৃহস্পতিবারও রাস্তা পার হতে গিয়ে বাসের ধাক্কায় সুহাদ মাহমুদ ফাহিম নামের তিতুমীর কলেজের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা এখানে আর কোনো প্রাণ হারাতে চান না। তাই যেকোনো মূল্যে তাঁদের দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আলমগীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো শুনেছেন। তাঁদের বুঝিয়ে শান্ত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিতে সংশ্লিষ্ট সবাই একমত হয়েছেন।