জয়পুরহাট শহরের গুলশান মোড়ে অবস্থিত এন এ মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র থেকে আজ মঙ্গলবার সকালে এক কিশোরের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত কিশোর নিরাময় কেন্দ্রের প্রধান বাবুর্চির সহকারী হিসেবে কাজ করত। ঘটনার পর থেকে বাবুর্চি পলাতক রয়েছেন।
এ ঘটনায় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের পরিচালকসহ আটজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। নিহত কিশোরের নাম আবদুর রহমান (১৫)। সে জয়পুরহাট সদর উপজেলার দিওর গ্রামের লদু মণ্ডলের ছেলে। সে জয়পুরহাট পুলিশ লাইনস স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত।
থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আবদুর রহমান মাদকাসক্ত ছিল। প্রায় দেড় বছর আগে অভিভাবকেরা তাকে সুস্থ করার জন্য এন এ মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করার জন্য নিয়ে আসেন। বয়স কম হওয়ায় তাকে কেন্দ্রে ভর্তি করেনি কর্তৃপক্ষ। ভর্তি ছাড়াই তাকে নিরাময় কেন্দ্রে রাখা হয়। সে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের পরিচালক বিল্পব সরকারের ফরমাশ শুনত আর কেন্দ্রের প্রধান বাবুর্চি আবু জাফরের সহকারী হিসেবে কাজ করত।
আজ সকালে নিরাময় কেন্দ্রের একজন স্বেচ্ছাসেবী রান্নাঘরে গিয়ে আবদুর রহমানকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর নিরাময় কেন্দ্রের পরিচালকসহ অন্যরা রান্নাঘর থেকে আবদুর রহমানকে উদ্ধার করে আধুনিক জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে হাসপাতালের চিকিৎসকেরা আবদুর রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে লাশটি তাঁরা হাসপাতালের মর্গে পাঠান।
নিরাময় কেন্দ্রের পরিচালক বিল্পব কুমার বলেন, বয়স কম হওয়ায় আবদুর রহমানকে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়নি। তাকে ভালো করতে জয়পুরহাট পুলিশ লাইনস স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি করে দিয়েছিলেন। ঘটনার পর থেকে প্রধান বাবুর্চি আবু জাফরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে ওই কিশোরকে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য এখনো জানা যায়নি। এ ঘটনায় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের পরিচালকসহ আটজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।