টানা দুই দিন সামরিক অভিযান চালিয়ে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবির থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গত সোমবার অভিযান শুরুর পরে প্রাণ গেছে ১২ জন ফিলিস্তিনি ও একজন ইসরায়েলি সৈন্যের। একটি প্রতিরক্ষা সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রায় ১৪ হাজার ফিলিস্তিনির বাসস্থান জেনিন ক্যাম্পের ওপর প্রথমে ড্রোন হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এরপর কয়েক হাজার সৈন্য পাঠায়। ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানের প্রতিবাদে পশ্চিম তীরে ধর্মঘটের ডাক দেয় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। শরণার্থী শিবির থেকে তিন হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে স্থানীয় হাসপাতালে সরিয়ে নেওয়া হয়।
রয়টার্স বলছে, ইসরায়েলিদের হামলায় যে ১২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে অন্তত পাঁচজন সশস্ত্র প্রতিরোধ যোদ্ধা।
ইসরায়েলের ভাষ্য, এই অভিযানের মাধ্যমে ‘সন্ত্রাসীদের আস্তানা’ টার্গেট করা হয়েছে। তবে ফিলিস্তিনের পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের নিরস্ত্র মানুষের ওপর আবারও নতুন করে যুদ্ধাপরাধ করেছে ইসরায়েল।
জেনিন শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। জেনিন ক্যাম্পের বাসিন্দা বলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অনেক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়ে গেছে।
গত এক বছরের মধ্যে জেনিনের শরণার্থী শিবিরের ওপর একাধিক ইসরায়েলি সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে। ইসরায়েলিদের লক্ষ্য করে বেশ কিছু গুলিবর্ষণের ঘটনাও ঘটেছে। ফিলিস্তিনিদের দ্বিতীয় ইন্তিফাদার সময় এই এলাকাটিতে ব্যাপক গোলযোগ হয়। ২০০২ সালের এপ্রিলে ইসরায়েলি বাহিনী পুরোদমে সামরিক অভিযান চালায়। সে সময় কমপক্ষে ৫২ জন ফিলিস্তিনি এবং ২৩ জন ইসরায়েলি সৈন্য নিহত হয়।