ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে যুদ্ধবিরোধী ও মানবাধিকারের স্লোগানসংবলিত জুতা পরে পার্থ টেস্টটা খেলতে চেয়েছিলেন উসমান খাজা। অস্ট্রেলিয়ার ওপেনারকে সেটি করতে দেয়নি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা আইসিসি। শেষ পর্যন্ত কালো বাহুবন্ধনী পরেই টেস্টটা খেলতে নেমেছিলেন খাজা। খেলায় ‘রাজনীতি’ মেশানোয় আইসিসি তিরস্কারও করে তাঁকে।
এরপর আজ মেলবোর্নে শুরু হওয়া অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান দ্বিতীয় টেস্টটা জুতায় শান্তির প্রতীক পায়রার স্টিকার লাগিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন খাজা। আইসিসির আপত্তিতে সেটিও পারেননি। তবে একদম সাদা জুতা পরে আজ ব্যাটিংয়ে নামেননি খাজা, প্রতিবাদের জন্য একটু অন্য রকম উপায় বেছে নিয়েছেন। নিজের দুই মেয়ে আয়েশা ও আয়লার নাম লিখেছেন জুতায়। পার্থ টেস্টে তাঁকে প্রতিবাদের স্লোগান লিখতে আইসিসির আপত্তির পর খাজা বলেছিলেন, ‘যখন আমি দেখি হাজার হাজার নিরপরাধ শিশু মারা যাচ্ছে, ওই জায়গায় আমি আমার দুটি মেয়েকে কল্পনা করি। কী হতো যদি ওখানে ওরা থাকত?’
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী নিক হকলি আজ মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টেস্ট শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন খাজাকে নিয়ে, ‘আমরা উজির (উসমান খাজা) সঙ্গে বসেছিলাম। চেয়েছিলাম এমন কিছু খুঁজে বের করার, যেটা কিনা নিরপেক্ষ, ধর্মনিরপেক্ষ ও অরাজনৈতিক হবে। সেভাবেই শান্তির প্রতীক পায়রার কথা মাথায় আসে। কিন্তু আইসিসি হয়তো বিষয়টা নিয়ে আরও গভীরভাবে চিন্তা করেছে।’
খাজা গতকাল রাতে নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি রিল পোস্ট করেছেন, যেখানে অন্য খেলোয়াড়দের বিভিন্ন ধরনের চিহ্ন বা প্রতীকসংবলিত ক্রিকেট সরঞ্জামের ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘সবাইকে বড়দিনের শুভেচ্ছা। কিছু সময় আপনার হাসা ছাড়া উপায় থাকে না। বক্সিং ডেতে আপনাদের সঙ্গে দেখা হবে। #ইনকনসিসটেন্ট (স্ববিরোধিতা) #ডাবলস্ট্যান্ডার্ডস (দ্বিচারিতা)’।
মেলবোর্নে আজ ৪২ রান করে আউট হয়েছেন উদ্বোধনী জুটিতে ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ৯০ রানে জুটি গড়া খাজা।