এলিজাবেথ জেন ক্যারল, সাবেক মার্কিন সাংবাদিক-কলাম লেখক। বয়স ৭৯ বছর ছুঁয়েছে। এই বয়সে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন ক্যারল। গুরুতর এই অভিযোগ তুলেই ক্ষান্ত হননি ক্যারল, রীতিমতো আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের ফেডারেল আদালতে স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার সাক্ষ্য দিতে গিয়ে জেন ক্যারল বলেছেন, তিনি তাঁর জীবন ফিরে চান। বছরের পর বছর ধরে সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
ক্যারলের অভিযোগ, ১৯৯৬ সালে ম্যানহাটনের একটি ডিপার্টমেন্ট স্টোরের ড্রেসিংরুমে ট্রাম্প তাঁকে ধর্ষণ করেছিলেন। ওই সময় তিনি একজন বন্ধুর জন্য উপহার কিনতে সেখানে গিয়েছিলেন। পূর্বপরিচিত ট্রাম্প তাঁকে উপহার পছন্দ করে দিতে সহায়তা করছিলেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগও করেছেন ক্যারল।
তবে ক্যারলের এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন ট্রাম্প। তাঁর মতে, নিজের প্রচারণার জন্য এমন ‘কল্পকাহিনি’ বলছেন ক্যারল।
২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তোলা এ অভিযোগ ও মামলা বেশ গুরুত্ব পেয়েছে। ওই নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ৭৬ বছর বয়সী ট্রাম্প।
নিউইয়র্কের আদালতে ক্যারল জানান, ওই ঘটনার পর থেকে তিনি আর কখনোই স্বাভাবিকভাবে প্রেমের সম্পর্কে জড়াতে পারেননি। তাঁর রোমান্টিক জীবন নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
আদালতে ক্যারল বলেন, ‘আমি এখানে এসেছি, কারণ, ডোনাল্ড ট্রাম্প আমাকে ধর্ষণ করেছেন। আমি যখন এটা নিয়ে লেখালেখি করেছিলাম, তখন তিনি (ট্রাম্প) তা অস্বীকার করেছেন, মিথ্যা বলেছেন।’
ক্যারল অভিযোগ করে আরও বলেন, ‘ট্রাম্প ওই ঘটনা দিনের পর দিন অস্বীকার করে আমার মানহানি করেছেন। আমি এখানে আমার জীবন ফিরে পেতে এসেছি। আমি সেই চেষ্টাই করছি।’
এদিকে চলতি মাসের শুরুতে ফৌজদারি অপরাধে গ্রেপ্তার হন ট্রাম্প। সম্পর্ক নিয়ে মুখ বন্ধ রাখার জন্য সাবেক পর্ন তারকা স্টরমি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় অভিযুক্ত হন তিনি। তিনিই প্রথম কোনো সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হয়েছেন।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০৬ সালে স্টরমি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে তাঁর যৌন সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। পরে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এ বিষয়ে মুখ না খুলতে তাঁর পক্ষ থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেওয়া হয়েছিল স্টরমিকে।