বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাংবাদিক জিল্লুর রহমানের মতো একজন সম্মানিত ব্যক্তির ক্ষেত্রে এমন ঘটনা অনভিপ্রেত ও উদ্বেগজনক। সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে এমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না, যাতে কোনো ব্যক্তির জীবন, স্বাধীনতা, দেহ, সুনাম বা সম্পত্তির হানি ঘটে। এ অবস্থায় জিল্লুর রহমানের করা ওই অভিযোগ জনমনে একধরনের ভীতি ও শঙ্কার সৃষ্টি করে। বিজয়ের মাসে স্বাধীন বাংলাদেশের একজন নাগরিকের করা এমন অভিযোগ জনমনে এই আশঙ্কারও উদ্রেক করে যে বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ক্রমে সংকুচিত হচ্ছে কি না, যা সার্বিকভাবে নাগরিক অংশগ্রহণমূলক ও অধিকারভিত্তিক বাংলাদেশের টেকসই অগ্রগতিকে চরমভাবে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
২২ ডিসেম্বর এক ফেসবুক পোস্টে জিল্লুর রহমান বলেছেন, পুলিশ তথ্য সংগ্রহের জন্য শরীয়তপুরে তাঁর পৈতৃক বাড়িতে গেছে। তিনি ঢাকায় থাকেন, তাঁর একটি অফিসও রয়েছে। কোনো তথ্য দরকার হলে পুলিশ সদস্যরা সরাসরি তাঁর কাছে যেতে পারতেন বা তাঁকে টেলিফোন করতে পারতেন। তারপরও তাঁরা তাঁর পৈতৃক বাড়িতে গেছেন। তাঁকে, তাঁর পরিবার ও প্রতিবেশীদের ভয় দেখানোর জন্য এটা করা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম, অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান, অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদ, অধ্যাপক শামীমা সুলতানা, মানবাধিকারকর্মী নূর খান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া প্রমুখ।