আগামীকাল শনিবার থেকে ভারতে শুরু হতে যাওয়া জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেবেন না বলে আগেই ঘোষণা দিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট। এর আগে ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত আসিয়ান সম্মেলনেও তিনি অংশ নেননি।
গতকাল বৃহস্পতিবার সি চিন পিংকে চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যা দুর্গত একটি গ্রামীণ এলাকায় ঘরবাড়ি পরিদর্শন করতে দেখা গেছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, সি চিন পিং লংওয়াংমিয়াও গ্রাম পরিদর্শন করেছেন। সেখানে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেছেন, তাঁদের সমস্যার কথা শুনেছেন। তাঁদের কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তাঁদের নিত্যদিনের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ ঠিক আছে কি না, তা নিয়ে কথা বলেন তিনি।
গতকাল লংওয়াংমিয়াওয়ের বাসিন্দাদের সঙ্গে আলাপকালে সি চিন পিং বলেছেন, তিনি দুর্গত এলাকাগুলো নিয়ে উদ্বিগ্ন। সি বলেন, ‘চীনের জনসাধারণ যখন কোনো বিপদের মুখে পড়ে, তখন আমাদের সমাজতন্ত্রের ধারণাগুলোর পুরোপুরি ব্যবহার করতে হবে। আর তা হলো, যখন একটি দল সমস্যায় পড়ে, তখন সব দল একে সহযোগিতা করবে। দেশের পক্ষ থেকে পুরোপুরি সহযোগিতা তারা পাবে।’
এক দশকের বেশি সময় আগে চীনের শাসনক্ষমতায় বসেন সি চিন পিং। দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রতিটি জি-২০ সম্মেলনেই তিনি যোগ দিয়েছেন। এবারই প্রথম তিনি জি-২০ সম্মেলনে চীনের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন না। সি চিন পিং কেন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সে ব্যাপারে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেয়নি চীন। শুধু বলা হয়েছে, তাঁর জায়গায় চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন।
২০১৯ সালে করোনা মহামারি শুরু হওয়ার আগে সি চিন পিং ১২ বারের মতো বিদেশ সফর করেছেন। ২০২২ সালে তিনি পাঁচবার বিদেশ সফর করেন।
এর আগে চীনে নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিক সূত্রে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, আসন্ন জি-২০ সম্মেলনে সি চিন পিংয়ের যোগ না দেওয়ার ঘোষণায় বোঝা যাচ্ছে পশ্চিমা বিশ্ব এবং তাদের মিত্রদের সঙ্গে বেইজিংয়ের সম্পর্ক ক্রমাগত শীতল হচ্ছে।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের চলতি বছর চীন সফরের কথা আছে। তাঁরা চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে আলোচনা করবেন।