জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায়ে মুসল্লিদের জায়নামাজ ও ছাতা ছাড়া অন্য কিছু না আনার অনুরোধ করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
তিনি বলেন, জাতীয় ঈদগাহে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিসহ ৩০-৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করবেন। যারা ঈদগাহ আসবেন, তারা শুধুমাত্র জায়নামাজ আর ছাতা নিয়ে আসতে পারেন। অন্য কোনো লাগেজ বা ব্যাগ না নিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করছি। প্রত্যেককে চেকপোস্টে তল্লাশি শেষে ঈদগাহে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। গাড়ি কোথায় থামবে সে বিষয়েও নির্দেশনা রয়েছে। গাড়ি থেকে নেমে অনেকদূর হেঁটে আসতে হবে, তাই বৃষ্টির দিনে সবার সঙ্গে ছাতা থাকা ভালো। আবহাওয়ায় যদি আরও বড় দুর্যোগ না হয় তাহলে মুসল্লিরা এ অবস্থায় নির্বিঘ্নে জাতীয় ঈদগাহে নামাজ আদায় করতে পারবেন।
বুধবার জাতীয় ঈদগাহে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে জাতীয় ঈদগাহে তিন স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি অনলাইনেও সক্রিয় থাকবে ডিএমপির সাইবার ইউনিটগুলো।
তিনি বলেন, জাতীয় ঈদগাহ ডিএমপির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করানো হচ্ছে। ইউনিফর্মধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকবে। পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকবে।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, জঙ্গি হামলার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। তারপরও পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। সেটা অব্যাহত থাকবে।
ঈদে ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে ডিএমপি কমিশনার বলেন, গত ঈদে যে নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল এবারও তা বজায় রাখা হবে।