ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতি এবং স্থিতিশীলতার স্তম্ভ হিসেবে পরিচিত জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের উপর অনাস্থা জ্ঞাপন করেছেন দেশটির বেশিরভাগ সাংসদ। এর ফলে জার্মানিতে চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সরকারের পতন হয়েছে এবং এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে চলমান রাজনৈতিক সংকট আরও ঘনিভূত হল বলে মনে করা হচ্ছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয় প্রতিবেদনে বলা হয়, ওলাফ শলৎসের ক্ষমতায় থাকা না থাকার প্রশ্নে সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) জার্মান পার্লামেন্টে আস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ভোটাভুটিতে পরাজিত হয়েছেন চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস। এর ফলে নতুন সরকার গঠন করতে এখন আগাম নির্বাচন আয়োজন করতে করতে হবে। যা আগামী বছর ২৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
মূলত অর্থনৈতিক সংস্কার নিয়ে জোট সরকারের অংশীদার তিন দলের মধ্যে মতানৈক্য দেখা দেয়। তার জেরে গত মাসেই জোট সরকার ভেঙে দেয়ার ঘোষণা দেন চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস। সেই সঙ্গে ১৬ ডিসেম্বর আস্থা ভোটের ডাক দেন।
জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে এক প্রতিবেদনে জানায়, পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে অংশ নেন ৭১৭ জন আইনপ্রণেতা। এর মধ্যে বিপক্ষে চ্যান্সেলরের বিপক্ষে ভোট পড়ে ৩৯৪টি, ওলাফ শলৎসের পক্ষে ভোট দেন ২০৭ জন৷ ভোটদানে বিরত থাকেন ১১৬জন৷ জার্মানির নিম্ন কক্ষের প্রেসিডেন্টের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ডিপিএ এই তথ্য জানায়৷
তার আগে দেশের অর্থনীতি ও বাজেট সংক্রান্ত বিষয়ে বিতর্কের জেরে জোট সরকারের ভাঙন দেখা দিলে অনাস্থা ভোটের আহ্বান জানান শলৎস৷ অবশ্য তার উপর সাংসদরা আস্থা রাখবেন না সেটি আগে থেকেই অনেকটা অনুমেয় ছিল৷
চলমান পরিস্থিতিতে জার্মানির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক-ভাল্টার স্টাইনমায়ারকে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এই সিদ্ধান্ত নিতে ২১ দিন সময় পাবেন তিনি। এরই মধ্যে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাবনায় সম্মতির ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি বলেও একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্য জানিয়েছে।