জামিননামা দাখিল করলেন প্রথম আলো সম্পাদক, তিনি জামিনে থাকবেন

0
142
জামিননামা দাখিল করতে আজ বুধবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে যান প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান আদালতে জামিননামা দাখিল করেছেন। ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. আসাদুজ্জামানের আদালতে আজ বুধবার এই জামিননামা দাখিল করা হয়েছে।

একই সঙ্গে প্রথম আলোর সম্পাদক একই আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেছেন। আগামী ১৬ আগস্ট জামিন আবেদনের বিষয়ে শুনানির দিন ঠিক করেছেন আদালত। ওই দিন পর্যন্ত জামিনে থাকবেন তিনি।

এসব তথ্য জানান প্রথম আলো সম্পাদকের আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার। আদালতে প্রথম আলো সম্পাদকের জামিন আবেদন বিষয়ে শুনানি করেন আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী। তিনি আদালতে বলেন, উচ্চ আদালত প্রথম আলো সম্পাদককে আগাম জামিন মঞ্জুর করেছেন। উচ্চ আদালতের আদেশ অনুযায়ী তিনি আজ আদালতে জামিননামা দাখিল করার অনুমতি চাচ্ছেন এবং একই সঙ্গে বিবিধ আবেদন করে জামিন চেয়েছেন। তিনি কোনো অপরাধ করেননি।

প্রথম আলো করেছিলটা কী

উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য ১৬ আগস্ট দিন ঠিক করেন।

প্রথম আলো সম্পাদকের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী বলেন, প্রথম আলো সম্পাদক জামিননামা দাখিল করেছেন। পরবর্তী শুনানির তারিখ পর্যন্ত তিনি জামিনে থাকবেন।

প্রথম আলো সম্পাদকের পক্ষে আদালতে আরও উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী বাহাউদ্দিন আল ইমরান ও মাহমুদুল হাসান।

অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন স্থগিতের আহ্বান জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের

প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ও নিজস্ব প্রতিবেদক (সাভারে কর্মরত) শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে গত ২৯ মার্চ মধ্যরাতে রাজধানীর রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন আইনজীবী আবদুল মালেক (মশিউর মালেক)। এই মামলায় গত ২ এপ্রিল হাইকোর্ট প্রথম আলো সম্পাদকের ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন মঞ্জুর করেন। একই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কয়েক দিন কারাগারে থাকার পর জামিন পান প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান।

দুটি ধারা বাতিল, ৮টি সংশোধনের সুপারিশ

প্রসঙ্গত, ২৬ মার্চ অনলাইনের একটি প্রতিবেদন ফেসবুকে প্রকাশের সময় দিনমজুর জাকির হোসেনের উদ্ধৃতি দিয়ে একটি ‘গ্রাফিক কার্ড’ তৈরি করা হয়। সেখানে উদ্ধৃতিদাতা হিসেবে জাকির হোসেনের নাম থাকলেও ছবিটি ছিল একটি শিশুর। পোস্ট দেওয়ার কিছুক্ষণ পর অসংগতি নজরে আসে এবং দ্রুত তা প্রত্যাহার করা হয়। সেটা পরে প্রতিবেদন সংশোধন করে সংশোধনীর বিষয়টি উল্লেখসহ অনলাইনে প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনের কোথাও বলা হয়নি যে উক্তিটি ওই শিশুর; বরং স্পষ্টভাবেই বলা হয়েছে, উক্তিটি দিনমজুর জাকির হোসেনের।

পরে এ নিয়ে একাত্তর টেলিভিশনে খবর প্রকাশিত হয়। তারপর ২৯ মার্চ (বুধবার) ভোর চারটার দিকে প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে তাঁর সাভারের বাসা থেকে সিআইডির পরিচয় দিয়ে তুলে আনা হয়। এরপর প্রায় ৩০ ঘণ্টা তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

তবে ২৯ মার্চ বিকেলে জানা যায়, শামসুজ্জামানকে তুলে আনার ঘণ্টা দুয়েক আগে তাঁর বিরুদ্ধে ঢাকার তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন সৈয়দ মো. গোলাম কিবরিয়া। তবে ৩০ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সকালে পুলিশ শামসুজ্জামানকে রমনা থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে। এই মামলায় প্রথম আলো সম্পাদককেও আসামি করা হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.