জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানকে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান।
মঙ্গলবার দুপুরের পর ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
আসাদুজ্জামান বলেন, নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সঙ্গে শফিকুর রহমানের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। এ অভিযোগে গত ৯ নভেম্বর সিলেট থেকে তার ছেলে রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহকে এক সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সাইফুল্লাহ জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সিলেট অঞ্চলের সমন্বয়ক।
এর আগে ১ নভেম্বর ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে সংগঠনের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর সাইফুল্লাহর বিষয়ে তথ্য পাওয়া যায়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই শফিকুর রহমান ও তার ছেলে সাইফুল্লাহর সঙ্গে শারক্বীয়ার সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানান সিটিটিসিপ্রধান।
তিনি বলেন, ২০২১ সালের জুনে প্রথমবার সাইফুল্লাহর নেতৃত্বে সিলেট থেকে ১১ জন দুর্গম পাহাড়ে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ নিতে হিজরত করেছিলেন। সে সময় কেএনএফ ও শারক্বীয়ার নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে তাদের ফিরিয়ে আনা হয়। চট্টগ্রাম থেকে তাদের দুটি মাইক্রোবাসে করে ঢাকা ও সিলেটে নেওয়া হয়। বিশেষ ব্যবস্থাপনায় শফিকুর রহমান তাদের ফিরিয়ে আনেন। যারা হিজরত করেছিলেন, তারা আগে ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।
জামায়াত আমিরের ছেলে সাইফুল্লাহ শারক্বীয়ার আগে আনসার আল ইসলামে যোগ দিয়েছিলেন জানিয়ে আসাদুজ্জামান বলেন, আনসার আল ইসলামে থাকাকালে তার মাধ্যমে সিলেট অঞ্চল থেকে অনেকে ওই সংগঠনে যোগ দেন। পরে শারক্বীয়ার দাওয়াত পেয়ে তিনি সেখানে যুক্ত হন।
এর আগে আজ ভোর ৪টার দিকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে শফিকুর রহমানকে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার মামলায় শফিকুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।