বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিচ্ছে জাপান। মেক্সট বৃত্তির মাধ্যমে টিউশন ফি ছাড়াই জাপানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক, মাস্টার্স ও পিএইচডি করার সুযোগ আছে। জাপানে পড়াশোনার জন্য অন্যতম একটি বৃত্তি হলো ‘মেক্সট’/ MEXT। এটি আসলে MECSST। শব্দটি প্রকৃতপক্ষে Ministry of Education, Culture, Sports, Science and Technology। বড়সড় শব্দটির সংক্ষিপ্ত রূপ হলো ‘মেক্সট’।
বৃত্তিপ্রাপ্তদের নিজ নিজ দেশ থেকে জাপানে আসার জন্য ও ঠিক সময়ে ডিগ্রি শেষে দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য বিমান ভাড়া ‘মেক্সট’ বহন করে থাকে। অন্যান্য অনেক বৃত্তিতেই এই সুবিধাটা সচরাচর থাকে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনোরকম টিউশন ফি, পরীক্ষা ফি বা অন্যান্য কোনো ফি দিতে হয় না। সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর যাবতীয় ফি মওকুফ আর পাবলিক বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফি আর অন্যান্য ব্যয়ভার বহন করে দেশটির শিক্ষা, প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
স্নাতকোত্তরের সময়সীমা দুই বছর আর পিএইচডির জন্য তিন বছর। আবেদন ও ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের কোনো ফি দিতে হয় না। মাসিক উপবৃত্তি, বিমানে যাতায়াত খরচসহ নানা সুযোগ-সুবিধা আছে এ বৃত্তির আওতায়। ইংরেজি দক্ষতার সনদ আইইএলটিএস বা জাপানি ভাষা দক্ষতার সনদ প্রার্থী নির্বাচনের সময় গুরুত্ব দেওয়া হয়। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের জাপানে আসার ও ডিগ্রি শেষ করে দেশে ফেরার বিমানভাড়া মেক্সট বহন করে।
কতজন পাবেন বৃত্তি
গবেষণা (মাস্টার্স ও পিএইচডি) পর্যায়ে ৪০ জন, আন্ডারগ্র্যাজুয়েট পর্যায়ে ২৫ জন, কলেজ অব টেকনোলজি পর্যায়ে ১৫ এবং স্পেশালাইজড ট্রেনিং কলেজ পর্যায়ে ৫ জনকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হবে। বাছাই করা প্রার্থীদের পরবর্তীতে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করবে জাপান দূতাবাস।
যেভাবে আবেদন করবেন
আগ্রহী প্রার্থীরা http://202.72.235.210/scholarship/mext/ ঢুঁ মারতে পারেন। এই লিংকটিতে ঢুঁ মেরে ১৬ মে ২০২৩ বিকেল ৪টা পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন আগ্রহীরা।
হার্ড কপি জমাদানের ঠিকানা
বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা-এর ২ নম্বর গেট সংলগ্ন অভ্যর্থনা কক্ষের ৯ নম্বর কাউন্টারে রক্ষিত নির্ধারিত বাক্সে জমা দিতে হবে।
মেক্সট বৃত্তির বিস্তারিত জানা যাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে।