ইরানের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসিকে বহনকরী হেলিকপ্টারটি বৈরি আবহাওয়া এবং বেশি ভার বহনের জন্য দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা বৃহস্পতিবার একটি নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর, আরব নিউজের।
রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের মামলার তদন্ত শেষ হয়েছে। যা ঘটেছে তা একটি দুর্ঘটনা, এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে। দুর্ঘটনার দুটি কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। একটি হলো আবহাওয়ার অবস্থা অনুপযুক্ত ছিলো এবং হেলিকপ্টারটি ওজন সামলাতে অক্ষম ছিল। এর ফলে এটি একটি পাহাড়ে বিধ্বস্ত হয়।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছে, তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, ওই হেলিকপ্টারটি নিরাপত্তা প্রোটোকলের অনুমতি উপেক্ষা করে ধারণক্ষমতার চেয়ে দুইজন লোক বেশি বহন করছিল।
এর আগে, গত ২৩ মে দেশটির সেনাবাহিনী প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছিল, যেখানে কোনো পক্ষের হস্তক্ষেপ বা হামলার প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। চূড়ান্ত প্রতিবেদনেও এই তথ্য পুনরায় নিশ্চিত করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৯ মে একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে আজারবাইজান সীমান্তবর্তী এলাকায় গিয়েছিলেন রইসি। সেখান থেকে ফেরার পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। ওই দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট রইসির পাশাপাশি নিহত হন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান।