ইউক্রেনের উত্থাপিত প্রস্তাবে সামরিক আগ্রাসন চালিয়ে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের জন্য রাশিয়াকে জবাবদিহির আওতায় আনার আহ্বান জানানো হয়েছে। এ ছাড়া যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনে প্রাণহানি, ক্ষয়ক্ষতি ও আহতদের জন্য রাশিয়াকে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য করার কথাও বলা হয়েছে।
ভোটদানে বিরত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, ভুটান, ব্রাজিল, মিসর, ইন্দোনেশিয়া, ইসরায়েল, নেপাল, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা রয়েছে। প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেওয়া দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে চীন, বেলারুশ, কিউবা, উত্তর কোরিয়া, ইরান, রাশিয়া ও সিরিয়া।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদেশের ভোটে খসড়া ওই প্রস্তাব পাস হওয়ার পরে ভোটদানে বিরত থাকার ব্যাখ্যা দিয়েছে ভারত। নয়াদিল্লির ব্যাখ্যায় প্রশ্ন তোলা হয়েছে, ক্ষতিপূরণ সংঘাত নিরসনের প্রচেষ্টায় অবদান রাখবে কি না। এ ধরনের প্রস্তাব তুলে নজির স্থাপন করা হচ্ছে কি না, সে ব্যাপারেও সতর্ক করেছে নয়াদিল্লি।
এদিকে প্রস্তাবের পক্ষে যুক্তি দিয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, শুধু বিগত এক মাসেই রাশিয়া ইউক্রেনের বিদ্যুৎ গ্রিড এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অবকাঠামোর প্রায় অর্ধেক ধ্বংস করেছে। এতে করে শীতকাল শুরু হওয়ার আগমুহূর্তে ইউক্রেনের কোটি কোটি মানুষ বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাসের সংকটে পড়েছেন।
অন্যদিকে, এ প্রস্তাবকে ত্রুটিপূর্ণ আখ্যায়িত করেছেন জাতিসংঘে রাশিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি ভাসিলি নেবেনজিয়া। এটা পাস হলে পরবর্তী সময়ে জাতিসংঘের কর্মকাণ্ডে বিরূপ প্রভাব ফেলবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।