কারিগরি ত্রুটির কারণে জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেলের ওয়েবসাইট থেকে তথ্য ফাঁস হয়েছে। এ ঘটনায় গঠিত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগে এ প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কমিটি।
প্রতিবেদনে তথ্য ফাঁসের জন্য সরাসরি কাউকে দায়ী করা হয়নি। তবে স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেলের অফিস বিষয়টি অস্বীকার করে জানিয়েছে, তাদের ওয়েবসাইট থেকে তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক অনলাইন সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চ ৭ জুলাই এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশে একটি সরকারি সংস্থার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষের তথ্য ফাঁস হয়েছে বলে জানায়। দক্ষিণ আফ্রিকাভিত্তিক সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক প্রতিষ্ঠান বিটক্র্যাক সাইবার সিকিউরিটির গবেষক ভিক্টর মারকোপাওলোসের সূত্রে টেকক্রাঞ্চ এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
দেশে-বিদেশে বিষয়টি আলোড়ন তোলে। পরে জানা যায়, জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন ওয়েবসাইট থেকে তথ্য ফাঁস হয়েছে। ঘটনা তদন্তে ১০ জুলাই আইসিটি বিভাগের ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির (ডিএসএ) মহাপরিচালককে প্রধান করে কমিটি গঠন করা হয়।
জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির প্রধান ডিএসএ মহাপরিচালক আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘তথ্য চুরির মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। কারিগরি ত্রুটির কারণে তথ্য উন্মুক্ত হয়ে পড়েছিল।’ তিনি বলেন, ‘আমরা তদন্তের প্রয়োজনে জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেলের অফিসে গিয়েছিলাম। এর পর সব দিক বিশ্লেষণ করে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দিয়েছি। তারা বিস্তারিত প্রকাশ করবে।’
জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেল অতিরিক্ত সচিব রাশেদুল হাসান তথ্য ফাঁসের বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, তদন্ত কমিটি তাদের কার্যালয়ে এসেছিল। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কার্যালয় থেকে তথ্য ফাঁসের কোনো প্রমাণ তারা পায়নি। এর পরও নিবন্ধনের ওয়েবসাইট থেকে তথ্য ফাঁস হয়েছে– তদন্ত কমিটি কেন এমন কথা বলছে, তা তারাই ভালো বলতে পারবে।
তদন্ত প্রতিবেদনে তথ্য সুরক্ষায় ওয়েবসাইটগুলোর কারিগরি ত্রুটি দূর, নিয়মিত সাইটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকিসহ কারিগরি জ্ঞান রয়েছে এমন ব্যক্তিদের সমন্বয়ে তথ্য সংরক্ষণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।