ছয় জেলায় জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা: দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী

0
142
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির বাস্তবায়ন বোর্ডের জরুরি সভায় বক্তব্য দেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে দেশের ছয় জেলায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান। আজ শনিবার ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির বাস্তবায়ন বোর্ডের জরুরি সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গতকাল শুক্রবার সকালে মোখা অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এখনো উত্তর ও উত্তর–পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এটা যেভাবে অগ্রসর হচ্ছে, আশঙ্কা করছি, মিয়ানমার ও বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায় আঘাত হানবে। এর প্রভাবে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, বরিশাল, ভোলা বরগুনাসহ বিভিন্ন এলাকায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।’

জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা নিয়ে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, টেকনাফ ও কক্সবাজারের জন্য সুনির্দিষ্ট করে দুই থেকে তিন মিটার উচ্চতার (১ মিটার সমান ৩.২৮ ফুট) জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, বরিশাল, বরগুনা ও ভোলার জন্য দুই মিটারের কম উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। তিন মিটারের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হলে আশ্রয়কেন্দ্রের লোকজনের জন্য একটি আশঙ্কা থেকে যায়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে এনামুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি আগামীকাল রোববার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে আঘাত হানতে পারে। এখন পর্যন্ত যে দূরত্ব আছে, আগামীকাল সকাল থেকেই উপকূল স্পর্শ করতে থাকবে।

এনামুর রহমান বলেন, ‘এটির অবস্থান, গতিপথ ও গতি বিবেচনা করে আমরা স্থির করেছি, কক্সবাজার বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেওয়ার জন্য। আর চট্টগ্রাম ও পায়রা বন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপৎসংকেত জারি রাখা হবে। মোংলায় ৪ নম্বর সতর্কতা সংকেত থাকবে।’

১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত কখন থেকে কার্যকর হবে, জানতে চাইলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, শনিবার বেলা আড়াইটা থেকে এটি কার্যকর হবে। এখন সেন্ট মার্টিনের সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হলেও চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের শতভাগ আনা সম্ভব হয়নি।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হবে। এতে ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে। এখন পর্যন্ত সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়নি। তবে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড কাজ করছে। এখন বাতাসের যে গতিবেগ ১৫০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার, এটা বেড়ে হয়তো ১৮০ কিলোমিটার হতে পারে। এর বেশি হওয়ার শঙ্কা নেই। যে কারণে মোখাকে সুপার সাইক্লোন বা অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় বলা যাবে না।’

এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.