ওয়ানডে বাংলাদেশের প্রিয় সংস্করণ। দেশের ক্রিকেটের অর্জনের হিসাব করতে গেলে এ সংস্করণের খাতাই সবার আগে খোলা হয়। প্রিয় হলেও এ সংস্করণেও ক্রিকেটারদের মানিয়ে নেওয়ার বিষয় থাকে। ওয়ানডে সংস্করণের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে বাংলাদেশ কতটা প্রস্তুত?
কতটুকু প্রস্তুত, সেটি বাংলাদেশ দলই বলতে পারবে। তবে টুর্নামেন্টের আগে ওয়ানডে খেলার মধ্যে নেই বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান ছাড়া বাকি ছয় দলই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে ওয়ানডে খেলবে।
ভারত ও ইংল্যান্ডের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে কাল। অস্ট্রেলিয়া এখন শ্রীলঙ্কায় খেলছে টেস্ট সিরিজ। এরপরও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে দুটি ওয়ানডে খেলবে দলটি। শ্রীলঙ্কা যদিও চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। অন্যদিকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির তিন দল পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা খেলবে ত্রিদেশীয় সিরিজ।
বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা যদিও খেলার মধ্যেই আছেন। তবে সেটি টি–টোয়েন্টি সংস্করণে। এর ওপর এবারের বিপিএল বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের কতটুকু প্রস্তুত করতে পারছে, সেটিও প্রশ্ন। নানা বিতর্কের বিপিএলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন ফরচুন বরিশালের একাদশ থেকেই বাদ পড়েছেন। মুশফিক, জাকের আলীসহ জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটারই নিজেদের সেরাটা দিতে পারেননি।
এর আগে সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজে আছে ৩-০–তে সিরিজ হারার স্মৃতি। গত ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তাদের মাটিতে ৩-০–তে সিরিজ হেরেছে দলটি। সিরিজের শেষ ম্যাচে তো ৩২১ রান তুলেও বাংলাদেশ হেরে গেছে। এর আগে নভেম্বরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেও হেরেছিল বাংলাদেশ। ৩ ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশ হেরেছিল ২-১ ব্যবধানে।
আর এমনিতেই তুলনামূলকভাবে ওয়ানডেই এখন কম দেখা যায়। গত বছরই ২০ দল মিলে ওয়ানডে খেলেছে মাত্র ১০৪টি। ২০২০ ও ২০২১ সালের করোনার সময় বাদ দিলে যা ২০১৬ সালের পর থেকে সর্বনিম্ন। মানিয়ে নেওয়ার প্রশ্ন তো থাকেই!