‘চোর সন্দেহে’ স্কুলছাত্রের পায়ে পেরেক ঢুকিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ

0
200
মাগুরার শালিখায় 'চোর সন্দেহে' ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্র (১২) কে পায়ে পেরেক ঢুকিয়ে নির্যাতন

মাগুরার শালিখায় ‘চোর সন্দেহে’ ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্র (১২) কে পায়ে পেরেক ঢুকিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার তালখড়ি ইউনিয়নের ছান্দড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নির্যাতনের শিকার শিশুটিকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শালিখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্স ভর্তি করা হয়েছে। সে ওই গ্রামের ছান্দড়া প্রগতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। এ ঘটনাই প্রধান অভিযুক্ত হাসানকে আটক করেছে শালিখা থানা পুলিশ।

ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রের বাবা জানান, শুক্রবার তার ছেলে জুম্মার নামাজ পড়তে ছান্দড়া চৌরাস্তা জামে মসজিদে যায়। এ সময় এলাকার মুদি দোকানদার হাসান তাকে আটক করে দোকানের মধ্যে নিয়ে চোর সন্দেহে নির্যাতন করে । তারা তাকে একটি ঘরের মধ্যে নিয়ে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পায়ে পেরেক পুতে ও হাতুড়ি দিয়ে নির্যাতন করে। খবর পেয়ে শালিখা থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আহত শিশুটির চাচা জানান, কয়েকদিন আগে ছান্দাড়া চৌরাস্তার পাশে হাসানের মুদি দোকানে চুরি হয়। এই চুরির ঘটনায় ‘চোর সন্দেহে’ তার ভাতিজাকে তারা আটক করে নির্যাতন চালায়। তার পায়ের একাধিক স্থানে লোহার পেরেক ঢুকানো হয়। পাশাপাশি হাতুরি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে এবং জোর করে ভিডিওধারণ করে চোরের স্বীকারোক্তি গ্রহণ করে।

শালিখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফাহমিদা জামান স্নিগ্ধা জানান, সজিবের অবস্থা গুরুতর। তার পায়ে ও শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শালিখা থানার ওসি মো. বিশারুল ইসলাম জানান, ‘চোর সন্দেহে’ একটি ছেলেকে নির্যাতন করা হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে শালিখা থানা পুলিশ অভিযান চালায়। পরে ছেলেটিকে উদ্ধার করে শালিকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।  এ ঘটনায় অভিযুক্ত দোকান মালিক হাসানকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.