সৌদি আরবসহ মধ্যপাচ্যের দেশ সমূহের সঙ্গে মিল রেখে উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে রোববার (১৬ জুন) চাঁদপুরের অর্ধশত গ্রামে পালিত হচ্ছে ঈদুল আজহা।
ঈদকে ঘিরে গ্রামগুলোতে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। সকাল থেকে নামাজ আদায় ও পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে ঈদুল আজহা পালন করছেন এসব গ্রামের মানুষ।
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ সাদ্রা দরবার শরীফসহ জেলার প্রায় ৫০টি গ্রামে এবারও আগাম পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করছে। গ্রামগুলো হচ্ছে- হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, প্রতাপুর, বাসারা। ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর, মতলব উত্তর উপজেলার দশানী, মোহনপুর, পাঁচানী এবং কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলার কয়েকটি গ্রাম।
সাদ্রা দরবার শরিফ মাঠের পিরজাদা জাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানী বলেন, দরবার শরিফ মাঠে ৯ টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে তিনি নিজেই ইমামতি করেন। সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসা মাঠে সকাল সাড়ে ৮টায় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ইমমতি করেন মাওলানা আরিফ উল্লাহ চৌধুরী।
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ ও ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল ইসলাম বলেন, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা এসব গ্রামে একদিন আগে হয়ে আসছে। ঈদের জামাতসহ সার্বিক নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আগাম ঈদ পালনকারী লোকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯২৮ সাল থেকে সৌদি আরবসহ আরব দেশসমূহের সঙ্গে মিল রেখে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপনের এই পন্থা চালু হয়। হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফের মরহুম পীর মাওলানা ইসহাক (রহ.) প্রথমে তার নিজ গ্রামে এবং পরে তার অনুসারীরা এমন নিয়ম মেনে রোজা রাখা শুরু করেন। সেই ধারাবাহিকতায় ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহা উদযাপন হয়ে আসছে।