আগামী দুই দিনের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ তৈরি হতে পারে। পরবর্তী এটি আরও শক্তি সঞ্চয় করে নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হলে এর নাম হবে ‘রেমাল’। এটি বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানতে পারে।
ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বুধবারের মধ্যে সাগরে লঘুচাপ তৈরি হতে পারে। সেখান থেকে নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নিম্নচাপটি শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। সাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় নিয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে এখনও কোনো তথ্য না জানালেও আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এরপর এটি ২৪ তারিখের পরে পূর্ণাঙ্গ ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি অর্জন করতে পারে। তবে, ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হওয়ার আগ পর্যন্ত এর গতিবিধি ও প্রভাব সম্পর্কে এখনই নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাবে না। বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শুক্রবার থেকে বাংলাদেশে বৃষ্টিপাত শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে। যা কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’-এর নামকরণ করেছে ওমান। আরবিতে এর অর্থ বালি। এই নামে ফিলিস্তিনের গাজা থেকে ১ দশমিক ৭ কিলোমিটার দূরে একটি শহরও রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের মে মাসে বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। সুন্দরবনের কারণে সে যাত্রায় রক্ষা পেয়েছিল দেশের উপকূল। এর আগে ২০০৯ সালের মে মাসেই সুন্দরবনে আঘাত হেনেছিল প্রলয়ঙ্করী আইলা।