গ্রিসে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পরে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, এই দুর্ঘটনা অবধারিত ছিল।
গ্রিসের রেলওয়ে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কোম্পানি হেলেনিক ট্রেনের সদর দপ্তরের বাইরে এথেন্সে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। খবর- বিবিসি।
মঙ্গলবার রাতে দুর্ঘটনাস্থলের কাছে থেসালোনিকি ও লারিসা শহরেও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দেশটির সরকার বলেছে, স্বাধীন তদন্ত করলে ন্যায়বিচার পাওয়া যাবে।
এদিকে, দুর্ঘটনার পরে গ্রিসের পরিবহনমন্ত্রী কোস্টাস কারামানলিস পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগ করাকে তিনি কর্তব্য ও রাজনৈতিক দায়িত্ব উল্লেখ করে বলেন, আমার এই পদত্যাগ দেশের গণতন্ত্রের জন্য একটি দরকারি বিষয় বলে মনে করি। যাতে নাগরিকরা রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে বিশ্বাস করে।
কোস্টাস বলেন, এই যন্ত্রণা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। এমন দুঃখজনক ঘটনার পরে চেয়ার আকড়ে কাজ চালিয়ে যাওয়া যায় না।
গত মঙ্গলবার গ্রিসের লরিসা শহরের কাছে একটি যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। যাত্রীবাহী ট্রেনে প্রায় ২৫০ জন ছিল যাত্রী ছিলেন। দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ৩৮ জনের। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৬৬ জন, যার মধ্যে ছয়জন নিবিড় পরিচর্যায় রয়েছে।
যাত্রীবাহী ট্রেনের সামনের বেশিরভাগ বগিই ধ্বংস হয়ে গেছে। এথেন্সের প্রায় ৩৮০ কিলোমিটার উত্তরের এই দুর্ঘটনার পর কমপক্ষে তিনটি ট্রেনে আগুন ধরে যায়। লাইনচ্যুত হয়েছিল একাধিক ট্রেন।
উদ্ধারকাজ সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিতে বুধবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গ্রিক প্রধানমন্ত্রী কায়রাকোস মিতসোতাকিস বলেন, ‘মানুষের ভুলের’ কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
দুর্ঘটনার পরে গ্রিসে তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়।