গোপন কক্ষে ঢুকে ইভিএমের বাটন টেপায় নৌকার এজেন্টকে ৬ মাসের কারাদণ্ড

0
187
আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট সুমি আক্তার

জেলা জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে পোলিং এজেন্ট সুমি আক্তার গোপন কক্ষে ঢুকে এক নারী ভোটারের ভোট নিজেই ইভিএম বাটন টিপে তাঁর পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে দিয়ে দেন। একই সময় ওই কেন্দ্র পরিদর্শনে যাওয়া নির্বাচন কমিশনের এক কর্মকর্তাদের কাছে ওই নারী ভোটার তাঁর ভোট দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেন। এ সময় নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করা নিয়োজিত জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম তাৎক্ষণিকভাবে আদালত বসিয়ে সুমি আক্তারকে ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।

পোলিং এজেন্টকে বেঁধে রাখলেন নির্বাচন কর্মকর্তা

গোপন কক্ষে ঢুকে ভোট দেওয়ার অভিযোগে এক পোলিং এজেন্টকে পিলারের সঙ্গে বেঁধে রেখেছেন নির্বাচন কর্মকর্তা। বৃহস্পতিবার দুপুরে পশ্চিম চর উরিয়া আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে

গোপন কক্ষে ঢুকে ভোট দেওয়ার অভিযোগে এক পোলিং এজেন্টকে পিলারের সঙ্গে বেঁধে রেখেছেন নির্বাচন কর্মকর্তা। বৃহস্পতিবার দুপুরে পশ্চিম চর উরিয়া আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে

সদর উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের পশ্চিম চর উরিয়া আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে বেলা দুইটার দিকে সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থীর (তালগাছ প্রতীক) পোলিং এজেন্টের দায়িত্ব পালন করছিলেন সেলিম। তিনি গোপন কক্ষে ঢুকে এক নারী ভোটারের ভোট নিজে দিয়ে দেন।

তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি কেন্দ্রে উপস্থিত জেলা জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিনের নজরে আনা হলে তিনি অভিযুক্ত সেলিমকে রশি দিয়ে বিদ্যালয়ের ভবনের পিলারের সঙ্গে বেঁধে রাখার নির্দেশ দেন। তাঁর নির্দেশে সেলিমকে পিলারের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়।

কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, পোলিং এজেন্টকে বেঁধে রাখার পর বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে প্রশ্ন তুললে তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানান। পরে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জুলফিকার নাঈমের নির্দেশে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.