ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ফারজানাসহ দুই নারীকে হাসপাতালে আনা হয়। এ সময় চিকিৎসক ফারজানাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত অপর নারী এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের দুজনের হাত ও মাথায় রক্তাক্ত জখম রয়েছে।
দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন বলেন, গুলশান-২ নম্বরের ৪৭ নম্বর সড়কে পড়ে ছিলেন ফারজানা বেগম। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তাঁকে হাসপাতালে আনা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মো. আ. আহাদ বলেন, ডিএনসিসির ভ্রাম্যমাণ আদালত গুলশানের আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছেন। তারই অংশ হিসেবে তাঁরা আজ ৪৭ নম্বর সড়কের ভবনটিতে গিয়েছিলেন।
ফারজানার স্বামী জাহিদ হাসান সপরিবার খিলক্ষেত বটতলায় থাকেন। পেশায় মুদিদোকানি জাহিদ হাসান পুলিশের কাছে খবর পেয়ে বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন। এ সময় তিনি সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, তাঁর স্ত্রী একটি বিউটি পারলারে কাজ করেন বলে তিনি জানতেন। বেলা ১১টার দিকে বড় বোন আফসানার সঙ্গে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন তিনি। দুপুরে পুলিশের কাছ থেকে দুর্ঘটনার খবর পান। ফারজানার বাড়ি খুলনার বটিয়াঘাটায়।