গুম করার অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড

0
12
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম।

গুম প্রতিরোধ, প্রতিকার ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। প্রস্তাবিত আইনে গুম করার অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ডসহ কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম।

তিনি জানান, গোপন আটক কেন্দ্র বা আয়নাঘর নামে পরিচিত যেসব স্থাপনা ব্যবহৃত হতো, সেগুলোকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এমন কেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবহার করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রেস সেক্রেটারি আরও জানান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে (এনএইচআরসি) গুম সম্পর্কিত অভিযোগ গ্রহণ ও তদন্ত পরিচালনার ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। একই সঙ্গে গঠিত ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ আমলে নেওয়ার পর ১২০ দিনের মধ্যে বিচার সম্পন্নের বাধ্যবাধকতাও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এ ছাড়া ভুক্তভোগী ও স্বাক্ষীদের নিরাপত্তা, ক্ষতিপূরণ, আইনি সহায়তা এবং পরিচয় সুরক্ষার বিষয়েও বিশেষ বিধান সংযোজন করা হয়েছে।

শফিকুল আলম বলেন, এই আইনের মাধ্যমে দেশে আর কোনো সরকার গুমের রাজত্ব চালাতে পারবে না। মানবাধিকার সুরক্ষা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতেই অধ্যাদেশটি পাস করা হয়েছে।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.