‘গায়েত্রীর বাসায় রাতে থাকতেন বাবুল আক্তার’

মিতু হত্যা

0
318
মাহমুদা খানম মিতু

চট্টগ্রামের আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যার মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ার সময় দুই সাক্ষী দাবি করেছেন, বাবুল আক্তার তার বান্ধবী গায়েত্রী অমর সিংয়ের বাসায় মাঝে মাঝে সন্ধ্যার পর যেতেন এবং রাতে থাকতেন। গভীর রাতে কখন বাবুল ওই বাসা থেকে বেরিয়ে যেতেন, তারা জানতেন না। অমর সিংকে নিয়ে মিতু ও বাবুলের মধ্যে বাসায় একাধিকবার ঝগড়াও হয়েছে।

রোববার আদালতে এসব কথা বলেন বাবুলের বাসার কাজের লোক মনোয়ারা বেগম বাপ্পী ফাতেমা ও বাবুলের বান্ধবী আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত ভারতীয় বংশোদ্ভুত নারীর বাসার কাজের লোক পম্পি বড়ুয়া। চট্টগ্রাম তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জসিম উদ্দিনের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন।

চট্টগ্রাম মহানগর পিপি আবদুর রশীদ বলেন, দুই গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীর সাক্ষ্যে নতুন নতুন তথ্য উঠে এসেছে। সাক্ষ্যগ্রহণের পর পম্পি বড়ুয়াকে আসামিপক্ষের জেরা সম্পন্ন করেছে। ফাতেমার জেরা অসমাপ্ত অবস্থায় আদালত সোমবার পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম মুলতবি করেছেন।

সাক্ষ্যে পম্পি বড়ুয়া বলেন, ২০১৩-১৪ সালে তিনি কক্সবাজারের হলিডে মোড়ে গায়েত্রীর বাসায় কাজ করতেন। তার স্বামী বিদেশে থাকতেন। তার বাসায় মাঝে মাঝে বাবুল আক্তার সন্ধ্যার পর যেতেন এবং রাতে থাকতেন। তবে তিনি বাবুল আক্তারকে চিনতেন না। মিতু হত্যার পর টেলিভিশনে ছবি দেখে বাবুলকে চিনতে পারেন।

অন্যদিকে ফাতেমা সাক্ষ্যে জানান, ২০১৩ সালে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের বাসায় কাজে যোগ দেন তিনি। বাবুল বদলি হয়ে চট্টগ্রামে আসার পর তাকেও নিয়ে আসেন। বাবুলের বাসায় সন্তান নিয়ে মাঝে মাঝে আসতেন গায়েত্রী। বাবুলের ব্যক্তিগত কক্ষে বসে তারা কথা বলতেন, তবে ওই কক্ষে অন্য কারও ঢোকার অনুমতি ছিল না। চট্টগ্রামের বাসায় আসার পর বান্ধবীকে নিয়ে বাবুল ও মিতুর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। দু’জন আলাদা কক্ষে ঘুমাতেন।

ফাতেমা আরও জানান, বাবুলের ব্যক্তিগত কক্ষে দু’টি বই পাওয়া যায়, সেখানে বান্ধবীর কিছু লেখা ছিল। মোবাইলে বাবুল ও বান্ধবীর ঘনিষ্ঠ কিছু ছবি ও এসএমএস পান মিতু।

২০১৬ সালের ৫ জুন নগরীর নিজাম রোডে খুন করা হয় মিতুকে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.