গাজীপুর সদর উপজেলার শিরিরচালা গ্রামে পারিবারিক বিরোধের জেরে নানি ও নাতনির গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন দেওয়ার ঘটনায় দগ্ধ নানি মারা গেছেন। গতকাল শনিবার রাতে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এখনো আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নাতনি।
মারা যাওয়া ওই নারীর নাম বেবী বেগম (৫৫)। তিনি ঝালকাঠির নলছিটি থানার কাণ্ডপাশা গ্রামের ইউনুস তালুকদারের স্ত্রী। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দগ্ধ মেয়েটির নাম সানজিদা আক্তার (১৩)। সে গাজীপুর সদর উপজেলার শিরিরচালা এলাকার শফিকুল ইসলামের মেয়ে। সানজিদা শিরিরচালা এলাকার হাজি নুরুল ইসলাম মডেল একাডেমির সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।
শফিকুল ইসলাম বলেন, গতকাল রাত আটটার দিকে তাঁর শাশুড়ি হাসপাতালে মারা গেছেন। তাঁর মেয়ের অবস্থাও খুব একটা ভালো নয় বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।
স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শিরিরচালা এলাকায় ১৮ জুন দুপুরে সানজিদা তার নানি বেবী বেগমের সঙ্গে বিদ্যালয় থেকে বাড়িতে ফিরছিল। পথে তার সৎভাই শুভ ও সৎভগ্নিপতি সাব্বির মোটরসাইকেলে করে কাঁঠালবাগান এলাকায় এসে তাঁদের গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে তাঁদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। সাত দিন সেখানে চিকিৎসাধীন থেকে গতকাল রাতে মারা যান বেবী বেগম।
ঘটনার দিন রাতেই দগ্ধ সানজিদার বাবা বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় মামলা করেন। পরে রাতেই অভিযান চালিয়ে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাহতাব উদ্দিন বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।