গাজীপুরে দুই মহাসড়কে গাড়ির চাপ, গার্মেন্টস ছুটির পর বিকেলে আরও বাড়বে

0
175
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ঘরমুখী মানুষের ভিড়। মঙ্গলবার সকাল ১০টায়

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে গাজীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। এ কারণে কোথাও কোথাও থেমে থেমে, আবার কোথাও কোথাও ধীরগতিতে যানবাহন চলছে।

কালিয়াকৈরে চন্দ্রা ও গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তায় আজ মঙ্গলবার ভোর থেকে ঘরমুখী মানুষের চাপ শুরু হয়। তবে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়নি।

কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর এলাকার একটি ওষুধ তৈরির কারখানায় চাকরি করেন সিরাগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার নলসন্ধ্যা গ্রামের আনোয়ার হোসেন। সড়কে যানজটের আশঙ্কায় মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে চন্দ্রা ত্রিমোড় থেকে বাসে ওঠেন।

তিনি বলেন, ‘যানজটের আশঙ্কায় সকালে রওনা হয়েছি। কোথাও যানজট পাইনি। সকাল আটটায় বাসে উঠে এক ঘণ্টার মধ্যে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গায় পৌঁছেছি। এলেঙ্গা পার হওয়ার পর থেকে শুরু হয় যানজট। এলেঙ্গা থেকে সোয়া এক ঘণ্টায় যমুনা সেতুর পূর্ব পাশের টোল প্লাজায় পৌঁছাই। এখানে যানবাহনের ধীরগতিতে যাত্রীরা দুর্ভোগে আছি।’

হাইওয়ে পুলিশ সূত্র জানায়, ঢাকা–টাঙ্গাইল মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তা থেকে চন্দ্রা পল্লী বিদ্যুৎ পর্যন্ত যানজট দেখা যায়নি। তবে চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় যাত্রীদের চাপ বেশি থাকায় যানবাহনের ধীরগতি দেখা গেছে। চন্দ্রা পার হওয়ার পর কালিয়াকৈরে বাইপাস পর্যন্ত মহাসড়কে যানজট নেই।

আশুলিয়া–চন্দ্রা রোডেও যানজট দেখা যায়নি। ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়কের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সালনা পর্যন্ত যানবাহন স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে। তবে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় যাত্রী ওঠানামার ফলে কিছুটা ধীরগতি রয়েছে।

ঘরমুখী মানুষের অনেকেই বাস না পেয়ে পিকআপে করে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায়
ঘরমুখী মানুষের অনেকেই বাস না পেয়ে পিকআপে করে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায়

মহাসড়ক ঘুরে দেখা গেছে, যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ। সে তুলনায় বাসসংখ্যা কম। বাধ্য হয়ে অনেক যাত্রীকে পিকআপ ভ্যান, ট্রাক, পশুবাহী ফিরতি ট্রাক, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেলে করেও যাত্রা করতে দেখা গেছে। ভাড়া স্বাভাবিক সময়ের থেকে অনেক বেশি বলে অভিযোগ করেছেন অনেক যাত্রী।

কোনাবাড়ী জরুণ এলাকার তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিক হারুন অর রশিদ বলেন, যানজট নেই, এটাই বড় কথা। ভাড়া একটু বেশি। তবে নিরাপদে আরামে যেতে পারলেই তিনি খুশি। বিকেলে আসল পরিবেশ বোঝা যাবে। কারণ, অনেক কারখানা দুপুরের পর ছুটি হবে।

গতকাল সোমবার রাতে মহাসড়কে যানবাহনের বেশ চাপ ছিল জানিয়ে গাজীপুরের নাওজোড় হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অতিকুল ইসলাম বলেন, ঈদে ঘরমুখী মানুষ বাড়ি ফিরছেন। পাশাপাশি গরুবাহী যানবাহন রাজধানীতে ঢুকছে। এরপরও কোথাও কোনো যানজট পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। সকাল থেকে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় যাত্রী ওঠানামা করায় কিছুটা ধীরগতি রয়েছে। তবে আজ পোশাক কারখানাগুলো ছুটি হলে বিকেলে মহাসড়কে চাপ বাড়বে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.