ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হেরজগ বলেছেন, গাজায় একটি নতুন সাময়িক যুদ্ধবিরতি কার্যকরে রাজি আছে তাঁর দেশ। তবে এ জন্য হামাসের হাতে আটক থাকা আরও জিম্মির মুক্তির বিষয়ে নিশ্চয়তা পেতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সামনে দেওয়া বক্তব্যে আইজাক হেরজগ বলেন, জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েল আরেকটি মানবিক বিরতি ও অতিরিক্ত মানবিক সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছে।
অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার দুই মাস পেরিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে গাজায় হামলা বন্ধ ও গাজাবাসীর জন্য আরও মানবিক সহায়তার পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ দিতে ইসরায়েলের প্রতি আন্তর্জাতিক চাপ বেড়েছে।
এর আগে গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি কার্যকরে মধ্যস্থতা করেছিল কাতার ও মিসর। গত নভেম্বরের শেষের দিকে সপ্তাহজুড়ে চলা বিরতিতে হামাস ৮৬ জন নারী ও শিশুকে মুক্তি দেয়। বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে আটক ২৪০ জন ফিলিস্তিনি মুক্তি পান। হামাসের পক্ষ থেকে ২৪ জন বিদেশি জিম্মিকেও মুক্তি দেওয়া হয়।
গত সোমবার পোল্যান্ডে একটি বৈঠক করেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল থানি। তাঁর সঙ্গে যোগ দেন ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের পরিচালক ডেভিড বার্নিয়া ও মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর প্রধান বিল বার্নস। বৈঠকে তাঁরা বন্দী-জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে নতুন একটি মানবিক যুদ্ধবিরতির সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা করেন।
এই কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক সূত্র রয়টার্সকে জানান, ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে একাধিক সম্ভাব্য প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন তাঁরা।
হামাসের পক্ষ থেকে গতকাল এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যা চলমান থাকলে বন্দী বিনিময়ের কোনো আলোচনা হবে না। তবে আগ্রাসনের অবসান করা এবং ফিলিস্তিনিদের জন্য ত্রাণ সহায়তা দিতে সীমান্ত ক্রসিং উন্মুক্ত রাখার যেকোনো উদ্যোগ স্বাগত জানানো হবে।
আল জাজিরা